ঝাড়গ্রাম: হাতে গোনা কয়েকদিন। আর তারপরই শুরু উচ্চ-মাধ্যমিক। পড়ুয়াদের মধ্যে জোর প্রস্তুতি। কিন্তু এইসবের মধ্যেই মর্মান্তিক খবর ঝাড়গ্রাম থেকে। সোমবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক উচ্চ-মাধ্যমিক পড়ুয়া। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই শোকের ছায়া পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায়।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার জুগিশোল গ্রামের ঘটনা। মৃত পড়ুয়ার নাম বিশ্বজিৎ মাহাত (১৯)। বিশ্বজিৎ পাথরা এসি হাইস্কুলের উচ্চ-মাধ্যমিকের ছাত্র। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের পরিবার খুবই দুস্থ। সংসার চালানোর জন্য বাবা-মা দু’জনকেই দৈনিক মজুরি করতে হয়। এদিন সকালে বিশ্বজিতের বাবা-মা কাজের সন্ধানে বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময়ই সকলের চোখের আড়ালে বিশ্বজিৎ তাঁদের বাড়ির ছাদে উঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি নজরে আসে বিশ্বজিৎ-এর ভাইয়ের। সেই চটজলদি প্রতিবেশী ও বাবা-মাকে খবর দেয়।
সঙ্গে-সঙ্গে প্রত্যেকে বিশ্বজিৎকে সাঁকরাইলের ভাঙাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে মৃত বলে জানান। বিশ্বজিৎ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসত। তার আগে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। প্রতিবেশীরা অবশ্য জানিয়েছেন, ওঁদের খুব দুঃস্থ পরিবার। বাড়িতে ওর সঙ্গে কারোর সঙ্গে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটাল বুঝে উঠতে পারা যাচ্ছে না। পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে গ্রামে ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিল বিশ্বজিৎ। আচমকা এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জুগিশোলে!
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘শর্ট সার্কিট’ না ‘ভয়ঙ্কর খেলা’? অনুব্রতর তত্ত্বকে কীভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা?