Dilip Ghosh: ‘উনি তো ময়দানেই নেই’, লকেটের ‘কাছের লোকের কদর’ নিয়ে সাফ জবাব দিলীপের
Dilip ghosh on Locket Chatterjee: পুরভোটের পরাজয়ের কারণ শনিবার বিশ্লেষণ করে বিজেপি। এ দিনের বৈঠকে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাজের লোককে দায়িত্ব দিতে হবে।'
কলকাতা: বিজেপি অন্দরের কোন্দল বারবার সামনে এসেছে। শনিবারও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেন তিনি। সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘মঞ্চে বলবেন, কিন্ত কাজের লোককে বাদ দিয়ে কাছের লোককে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেবেন।’ এর প্রেক্ষিতে রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আজ কী বললেন দিলীপ?
সাংবাদিকদের সামনে প্রথমে গতকাল দলের আত্মবিশ্লেষণ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “আত্মবিশ্লেষণ আগে থেকেই চলছিল। একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিতেই আত্মবিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায় সেটাকে আত্মবিশ্লেষণ বলে না। সেটাকে বলে পরচর্চা।” আত্মবিশ্লেষণ কাকে বলে? এদিন তাও বোঝান দিলীপ। বলেন, “আমায় কী ধরনের দায়িত্ব দিয়েছিল? আমি সেটা আদৌ পালন করেছি কি না সেটাই দেখার।” এরপর পুরভোটের প্রসঙ্গে টেনে বিজেপি নেতা বলেন, “আমাদের ভোট করতে দেওয়া হয়নি। ষাট বছর বয়সী দলের এক রাজ্যনেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একাধিক কর্মী হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন। বেশ কয়েকজন পুলিশের ভয়ে বাড়িছাড়া। এই পরিস্থিতিতে ভোট কী করে হবে? আমাদের কর্মীরা তো বেরোয়নি। এটা বাস্তব কথা যারা লোকসভা বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা কেউ বাড়ি থেকে বের হয়নি। ভোট দিতে পর্যন্ত যায়নি। কারণ তাদেরকেই টার্গেট করা হবে।’
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেন দিলীপবাবু। বলেন, “এইসব কথা বলা খুব সহজ। যাঁরা ময়দানে নেই, তাঁরা যদি এই ধরনের অভিযোগ করেন তাহলে কী হবে? যারা ময়দানে ছিলেন তাঁরা জানেন কত কঠিন লড়াই করাটা।
শনিবার কী বলেছিলেন লকেট?
পুরভোটের পরাজয়ের কারণ শনিবার বিশ্লেষণ করে বিজেপি। এ দিনের বৈঠকে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাজের লোককে দায়িত্ব দিতে হবে। নিজেরা বলবেন, কিন্ত কাজের লোককে বাদ দিয়ে কাছের লোককে খুঁজবেন।’ তাঁর কথায়, ‘পুরনো লোকদের বাদ দিয়ে দেওয়া ঠিক হয় নি।’ বিধায়কদের সংগঠন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি। যোগ্যতা নয়, কোটা দেখে বিজেপির জেলা সভাপতি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কিন্তু কেন এমন বললেন বিজেপি নেত্রী?
বিধানসভা ভোটের সময় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এরপর অধঃপতন হতে-হতে পুরভোটে তা দাঁড়ায় ১৬ শতাংশে। কলকাতা পুরভোটেও ভালো ফল করেনি তারা। কিন্তু বারবার কেন এতটা খারাপ রেজ়াল্ট হচ্ছে? সেই নিয়েই সমীক্ষা চালায় বিজেপি। তখনই বিতর্কিত এই মন্তব্য করেন লকেট।
আরও পড়ুন: Mursidabad Bombing: পারিবারিক অশান্তি, রাগের চোটে নিজের ছেলেদেরই বোমা ছুড়লেন বাবা!