বাঁকুড়া: প্রথম দফায় ভোট ছিল প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে। ভোট চলাকালীনই বিজাপুরে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার আগেই মাওবাদী দমন অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় জঙ্গলমহলের তিন জেলায় ভোট। প্রতিবেশী রাজ্যের ঘটনার কথা মাথায় রেখে বাংলার জঙ্গলমহল নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নজরে।
ভোটের আগে বিশেষ পর্যবেক্ষক গিয়েছেন সেখানে। কারণ স্পর্শকাতর কেন্দ্র। দফায় দফায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা। লক্ষ্য একটাই, এক সময়ের মাওবাদী উপদ্রুত জঙ্গলমহলে শান্তিপূর্ণ ভোট। বাংলার জঙ্গলমহলে ভোট করানো সবসময়ই নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জের। যদিও এই মুহূর্তে জঙ্গলমহলের তিন জেলা শান্তই রয়েছে। তবে নির্বাচনীপর্বে সপ্তাহখানেক আগে বিজাপুরের ঘটনার পর বাড়তি তৎপর নির্বাচন কমিশন।
২৫ মে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ভোট। তার আগে শনিবার তিন জেলা নিয়ে বৈঠক করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গলমহল বলেই কি অতিরিক্ত নজর দিচ্ছে কমিশন?
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা বলেন, “আমরা কথা বলেছি। এখানে আমাদের হাফ সেকশন আছে, ফুল সেকশন ফোর্স দেওয়ার জন্য। এসপিও বলেছেন। ওনারাও বলেছেন বিষয়টা দেখবেন। কিউআরটি থেকে শুরু করে সবই থাকবে।”
২০১০ সালের পর জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মাওবাদীদের আন্দোলন একেবারেই স্তিমিত। মাওবাদী তৎপরতা সেভাবে চোখে না পড়লেও জেলা পুলিশ নজরদারিতে খামতি রাখতে চায় না। সজাগ নির্বাচন কমিশনও।