ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে বাঘিনী। বাঘিনীর অবস্থান এখন এতটাই গোপন যে বন দফতরের কর্মীরা হন্যে হয়েও খোঁজ পাচ্ছে না তার। আর এই অবস্থায় তীব্র আতঙ্কে ময়ুরঝর্না ও কাঁকড়াঝোড়ের জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রামগুলি। বাঘের আতঙ্কে ফিরছেন পর্যটকেরাও। ঝাড়গ্রামের এই জঙ্গলের মাঝে মাঝে রয়েছে ছোট ছোট বেশ কিছু গ্রাম। সেই গ্রামগুলিতে মূলত বাস আদিবাসীদেরই। দৈনন্দিন প্রয়োজনে সেই মানুষগুলি অনেকাংশেই নির্ভরশীল জঙ্গলের উপর। জঙ্গলের কাঠপাতা সংগ্রহ করেই চলে তাঁদের জীবন। নিত্যদিনের প্রয়োজনে তাঁদের ঘন জঙ্গলের পথ ধরেই যাতায়াত করতে হয়।
এখন বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা মেনে অনেকেই জঙ্গলমুখো হচ্ছেন না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে যারা জঙ্গলে গিয়েছিলেন তারাও ফিরেছেন তড়িঘড়ি। কিন্তু তারপরেও কাটেনি আতঙ্ক। রাতের অন্ধকারে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বাঘিনী হানা দিলে বাঁচার রাস্তা কোন পথে, তা ভেবেই এখন দিশেহারা এলাকার মানুষ।
এদিকে শীত পড়তেই শয়ে শয়ে পর্যটক অরণ্যসুন্দরীর টানে হাজির হয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার কাঁকড়াঝোড় ও ময়ুরঝর্ণার জঙ্গলে। শনি ও রবিবার থাকায় সেই ভিড় বেড়েছিল স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু বাঘিনীর আতঙ্কে এখন কাঁপছে রাজ্যের অন্যতম সুন্দর এই পর্যটন কেন্দ্র। অগত্যা বেড়ানোর পরিকল্পনা মাঝপথে থামিয়েই ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের।
শীত পড়তেই হাজারে হাজারে পর্যটক ভিড় জমান ঝাড়গ্রামে। জঙ্গল আর পাহাড়ের নিরিবিলিতে দু’দিন কাটাতে সপ্তাহান্তে একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে ভালই ভিড় জমেছিল। কিন্তু, এদিন সকালেই খবর রটে যায় বাঘিনি আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গলে। আর তাতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করে দেন পর্যটকেরা। সতর্ক করা হয়েছে বন দফতরের তরফেও।