ঝাড়গ্রাম: প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি জয়ন্তীতে নাশকতামূলক ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। জঙ্গি এবং দুষ্কৃতীরা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য এই বিশেষ দিনগুলিকে নিশানা বানানোর চেষ্টা করে। সে জন্য সজাগ থাকে পুলিশও। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য- সব পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের কড়া নজর থাকে নিরাপত্তার বিষয়ে। দেশের এবং রাজ্যের রাজধানীগুলির নিরাপত্তাতেও দেওয়া হয় বিশেষ নজর। দেশের যে সমস্ত এলাকায় মাওবাদীদের প্রভাব আগে ছিল বা এখনও সক্রিয় ভাবে রয়েছে। সেই সমস্ত এলাকাতেও বাড়তি নজর রাখা হয়। পাশাপাশি রেললাইনের নিরাপত্তাতেও নজর থাকে রেলপুলিশের। এ বারেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি নেতাজি জয়ন্তীতে। ২৩ এবং ২৬ জানুয়ারির কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রাম স্টেশন ও তাঁর আশপাশে কড়া নজরদারি রয়েছে রেল পুলিশের।
২৩ শে জানুয়ারী এবং ২৬ শে জানুয়ারী কে সমনে রেখে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে কড়া সতর্কতা রেল পুলিশের। খড়গপুর থেকে টাটা পর্যন্ত গোট এলাকা মাওবাদী অধ্যুষিত। অতীতে একাধিক নাশকতার ঘটনাও ঘটছে এই এলাকায়। সেদিকে নজর রেখেই খড়্গপুরের পর থেকে সমস্ত স্টেশনে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু করছে রেল পুলিশ। সঙ্গে ছিল বম্ব স্কোয়াডের টিম ও স্নিপার ডগ। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে রেলের তরফে। যাতে কোনও নাশকতার ঘটনা কোথাও না ঘটাতে পারেন দুষ্কৃতীরা। তার জন্য কড়া ব্যবস্থাপনা রেলের তরফে। স্টেশন চত্বর, রেললাইন সমস্ত কিছুই কুকুর ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করছেন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। পাশাপাশি প্লাটফর্মে যে সমস্ত যাত্রীরা ট্রেন ধরতে আসছেন তাঁদের লাগেজও তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। অপর দিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও চলছে বিভিন্ন জায়গা নাকা চেকিং।
এ নিয়ে ঝাড়গ্রাম আরপিএফ-এর সাব-ইনস্পেক্টর বিমল ঘোষ বলেছেন, “বিভিন্ন জায়গায় আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। ডগ স্কোয়াডও রয়েছে সঙ্গে। আরপিএফ-জিআরপিএফ এক সঙ্গে অভিযানে নেমেছে।”