MAKAUT: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, MAKAUT-এর সেই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
MAKAUT:এ দিকে, ছাত্রীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের সুব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে সময় মতো ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

নদিয়া: সোমবার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। মঙ্গলবার মৃত্যু হল তাঁর। হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিকে, ছাত্রীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের সুব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে সময় মতো ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য,গতকাল অভিযোগ ওঠে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সন্ধে সাতটা নাগাদ পাঁচতলা বিল্ডিং-এর উপর থেকে ঝাঁপ দেন ওই ছাত্রী। তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারা ছুটে আসে সেখানে। ভর্তি করা হয় হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত পড়ুয়ার নাম সায়নী সেন (২৪)। তিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমটেক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি।
সায়নীর মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করেছে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য। বারংবার প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত তা কার্যকরী হয়নি। এরপর পড়ুয়ারা এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিণঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘণ্টা চারেক ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরে যদিও অবরোধ ওঠে। এ দিন রেজিস্ট্রারেরও পদত্যাগ চেয়েছেন পড়ুয়ারা। আর রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করলে উপাচার্য পদত্যাগ করুন দাবি করেছেন তাঁরা।
যদিও, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হওয়া ছাত্রী সোমবার পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ে। ফলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। হয়তো সেই কারণেই সে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এই ঘটনার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, সায়নীর পরিবারের সদস্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আধিকারিক সহ পড়ুয়ারা এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

