Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: সুস্থ মানুষকে খোঁড়া-বোবা-কালা বানিয়ে প্রতারণা চক্র, জালে তৃণমূল নেতা-সহ ৩

Malda: তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, এই প্রতারণা চক্রের মাথায় রয়েছে তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামের নুর আলম। তিনি আবার পুলিশ লাইনে হোমগার্ডের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গেই এই কাজ হাত পাকিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নাজিমুল হক।

Malda: সুস্থ মানুষকে খোঁড়া-বোবা-কালা বানিয়ে প্রতারণা চক্র, জালে তৃণমূল নেতা-সহ ৩
গ্রেফতার ৩ Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2024 | 11:02 PM

মালদহ: রমরমিয়ে চলছিল জাল প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট তৈরির কারবার। জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। শেষ পর্যন্ত, পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে এই প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস। শোরগোল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে। এদিন এই গ্রামেই পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের কাজে এসেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মণ্ডল। সেখানেই কিছু ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ ব্যক্তি এসে ভাতার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, তাঁদের জমা দেওয়া শংসাপত্র দেখে সন্দেহ হয় বিডিও-র। শুরু হয় তদন্ত। তখনই দেখা যায় এই সমস্ত শংসাপত্রই জাল। 

তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, এই প্রতারণা চক্রের মাথায় রয়েছে  তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামের নুর আলম। তিনি আবার পুলিশ লাইনে হোমগার্ডের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গেই এই কাজ হাত পাকিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নাজিমুল হক। তিনি আবার সম্পর্কে নুরের জামাইবাবু হন। রয়েছে মামুন আলি নামে আর এক তৃণমূল কর্মী। এদের হাতেই রয়েছে নিজস্ব এক ছাপাখানা। সেখানেই কুকীর্তি হত বলে জানা যাচ্ছে। 

জাল সার্টিফিকেটের পিছনে যে এদের হাত রয়েছে তা জানা মাত্রই গ্রামের বাসিন্দারাই নাজিমুলকে আটকে রাখেন। শেষে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাকি দুই সঙ্গীকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকা সূত্রে খবর, রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত, তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত, বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ আশপাশের বহু এলাকাতেই ছড়িয়েছিল এই প্রতারণা চক্রের জাল। ভাতার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে গছিয়ে দেওয়া হত এই জাল সার্টিফিকেট। বিনিময়ে কারও থেকে নেওয়া হত ৮ হাজার, কারও থেকে আবার ১০ হাজার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এতদিনে কয়েক লক্ষ টাকার জাল করবার করে ফেলেছে ধৃত তিনজনই। তিনজনকেই এদিন চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।