মালদা: নদীর ধার থেকে বালি তুলে অবৈধভাবে চলছিল লাগাতার পাচার। তল্লাশি অভিযান চালাতেই পুলিশের হাতে পাকড়াও চার তৃণমূল কর্মী সহ ট্রাক্টর। বাকি আরও কেউ জড়িয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলত নগর গ্রাম-পঞ্চায়েত এলাকার ভালুকা গোবরা ঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই ফুলহার এবং মহানন্দা নদীর তীর থেকে বালি কেটে বেআইনি ভাবে পাচার করা হত। বুধবার সকালে সেই রকম ভাবেই বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই মাঝপথে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আটক করে বালিভর্তি চারটি ট্রাক্টরকে। সঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চার যুবক। ধৃত চার জনই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের নাম, মোহাম্মদ কুসবান(৩০), শেখ জুলফিকার (২০), আলাউদ্দিন(৩১) এবং আতিউর রহমান(২০)। ধৃতদের বৃহস্পতিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতে রয়েছে বিহার সীমান্ত। ফলে বিহার লাগোয়া এই এলাকা থেকে বিভিন্ন জিনিস সহজেই পাচার করে দেওয়া হয় বিহারে। এমনকী এর আগেও অবৈধ ভাবে মাটি কেটে সেই মাটি বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এই ক্ষেত্রে বালি বিহার ছাড়া আর কোথায়-কোথায় পাচার করা হত বা সমগ্র চক্রটিতে কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
গোটা ঘটনায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, “পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে বলেই চারজন গ্রেফতার হয়েছে। বালি পাচার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই ব্য়াপারে খুবই শক্ত। তিনি জানিয়েছেন যে কোনও রঙ, দল ছাড়া গ্রেফতার করতে হবে। যারা এই কাজ করবে তাদেরকেই গ্রেফতার করতে হবে। সেই হিসেবেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদি আমাদের মদত থাকত তাহলে কি আমরা গ্রেফতার করতে দিতাম?”
অন্যদিকে, জেলা বিজেপি নেতৃত্বর ব্যক্তব্য, “এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এখানে তৃণমূলের সমর্থন এবং মদত দুই আছে। প্রশাসন আজকে যে কাজ করেছে অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে প্রশাসন কতটা কাজ করতে পারবে সেইটাই আমার প্রশ্ন।”