আত্মহত্যার চেষ্টা করা যুবক হলেন কোটিপতি!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 03, 2021 | 6:19 PM

Jackpot: সোমবার অবশ্য সব লটারি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। থেকে যায় মাত্র একটা টিকিট। শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে না দিয়ে ক্ষতিটা স্বীকার করে রেখেই দেন সেই টিকিটটা। আর তাতেই যেন সহায় হলেন ভাগ্যদেবী।

আত্মহত্যার চেষ্টা করা যুবক হলেন কোটিপতি!
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মালদহ: স্ত্রী সন্তান নিয়ে প্রায় না খেয়েই কাটছিল দিন। অভাব এতটাই যে ভেবেছিলেন আত্মহত্যা করবেন। আর তারপরেই যেন মুখ তুলে চাইলেন ভগবান। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি! মালদহ শহরের বিএস রোড এলাকার ঘটনা। কপর্দকহীন সেই ব্যাক্তিই এখন কোটিপতি!

পেশায় ব্যান্ডপার্টির বাজনা বাদক শঙ্কু ঋষি। বাড়ি মালদা শহরের বিএস রোডের জগদ্ধাত্রী তলায়। স্ত্রী, এক ছেলে,এক মেয়ে, বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। থাকার মধ্যে একটিমাত্র ছোট্ট ঘর। একটি খাটেই কষ্ট করে থাকতে হয় চারজনকে। এদিকে করোনা ঠেকাতে কার্যত লকডাউনে বাজনা বাজানোর অর্ডার আর আসে না। কিন্তু সংসার তো চালাতে হবে। তাই রাজমিস্ত্রির কাজে সাহায্য় করার জন্য শ্রমিকের নেন। কিন্তু তাতেও সংসারের অভাব মেটেনি।

দিন সতেরো আগে নিজের ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন শঙ্কু। ছোট ছেলের অন্নপ্রাশনে দেওয়া সোনার লকেট বিক্রি করে লটারি টিকিট বিক্রি শুরু করেন। সেটাও বাড়ির কাছেই বিএস রোড জগদ্ধাত্রী তলায়। কিন্তু না, সেখানেও লোকসান। গত শুক্রবার বৃষ্টিতে টিকিট বিক্রি না হওয়ায় বারশো টাকার ক্ষতি হয় তাঁর। চিন্তায় ভেঙে পড়েন। ঘরে বসে কান্নাকাটি শুরু করে দেন শঙ্কু। এরপর কী কাজ করবেন! সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন আত্মহত্যা করার। স্ত্রী ও সন্তানেরা তাঁকে বিরত করেন। ফের বসেন ব্যবসায়।

সোমবার অবশ্য সব লটারি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। থেকে যায় মাত্র একটা টিকিট। শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে না দিয়ে ক্ষতিটা স্বীকার করে রেখেই দেন সেই টিকিটটা। আর তাতেই যেন সহায় হলেন ভাগ্যদেবী। কয়েক ঘণ্টা পরই ডিস্ট্রিবিউটারের ঘর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। সেই নিজের কাটা টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার লেগে গিয়েছে! টিকিটের নাম্বার মিলিয়ে দেখতেই আনন্দে আত্মহারা শঙ্কু ঋষি।

বিক্রি না হওয়া টিকিটেই ফার্স্ট প্রাইজ! এক কোটি টাকা পেয়ে গিয়েছেন যে তিনি! পরিবার ও প্রতিবেশীদের জানাতেই আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে সবাই। প্রতিবেশীরা জানায়, তোর চরম দুঃখ দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়েছে ভগবান। আর শঙ্কু ঋষি বলছেন, “ভগবান আমার দুঃখ দুর্দশা দেখে মুখ তুলে চেয়েছেন। এই টাকা দিয়ে আমি একটি বাড়ি বানাব। বাবা-মার চিকিৎসা করাব। বাচ্চাদের একটু ভালভাবে লেখাপড়া করাব, এটাই তো আমার স্বপ্ন। আর অবশ্যই আমার মূল পেশা বাজনা বাজানোতেই ফিরে যাব।” আরও পড়ুন: নিয়ে যাচ্ছিল আদালতে, জ্যামে পড়তেই ‘ভ্যানিস’! গাড়ির অবস্থা দেখে ‘হাঁ’ তমলুকের পুলিশ 

Next Article