মালদায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, সালিশি সভায় এক ঘরে করে রাখার ‘নিদান’

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 03, 2021 | 11:33 AM

Maldah: ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায়। থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার চেষ্টা করে পরিবার।

মালদায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, সালিশি সভায় এক ঘরে করে রাখার নিদান
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মালদহ: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। সালিশি সভায় নির্যাতিতার পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার নিদান। এমনকি অভিযুক্তকে পালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও মাতব্বরদের দিকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যতিতা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বাবা-মা দিনমজুর। নির্যাতিতার গত ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে তাঁদেরই প্রতিবেশী এক মহিলা ডেকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে সেই মহিলা তাঁর দিদার বাড়ি যাবে বলে বেরিয়ে যান। সেই সময় অন্য ঘরে ছিল সেই মহিলার ভাই নাগর ওরফে পঙ্কজ দাস। অভিযোগ, তিনি ওই নাবালিকাকে জোর করে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে চাকু দেখিয়ে ভয় দেখান এবং ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায়। থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার চেষ্টা করে পরিবার। অভিযোগ, তখনও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। গ্রামের কিছু প্রভাবশালী সালিসি সভা বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দু’বার সালিসিও বসে। কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে উলটে আড়াল করা হয় বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ।

প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা হুমকির মুখে পড়েন নির্যাতিতার মা। গ্রামের মধ্যে এক রকম এক ঘরে করে রাখা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আর সে কারণেই তাঁকে আড়াল করতে চান তাঁরা।

ইতিমধ্যেই ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরেই বাধ্য হয়ে লুকিয়ে থানায় যান নির্যাতিতার মা। গত রবিবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্ত যুবক ততক্ষণে গ্রাম থেকে উধাও। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। লেগেছে রাজনৈতিক রঙও। অভিযুক্তকে আড়াল করতে তৃণমূল নেতার নাম উঠেছে এই ঘটনায়। যদিও তৃণমূল সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা “তৃণমূল এই সমস্ত জঘন্য কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তো অপরাধী শাস্তি পাবে। ” এদিকে, বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া বলেন, “এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কেস তুলে নেওয়ার জন্য মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল বিভিন্ন জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রশাসন কোনও পার্টির মদতে কাজ করছে কিনা, সেটাই দেখার।”
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত

 

Next Article