মালদা: দেওয়া রয়েছে মোবাইল নম্বর। পাশে লেখা রয়েছে ‘কল মি ফর সেক্সি গার্ল’। চতুর্থ সেমেস্টারের ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ছাত্রীদের। অনার্সের ফর্ম অনলাইনে জমা দিতে গিয়েই কলেজের সাইটে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে গিয়েই এই বিপত্তি। মালদা কলেজের (Malda College) এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মালদা কলেজের (Malda College) ভুক্তভোগী পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেমেস্টারের জন্য তাঁরা ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সাইটে ফর্ম ফিলাপের নির্দিষ্ট কলামে গিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে গিয়েই আজব ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা। অভিযোগ, নিজেদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার পরই ওই পড়ুয়ারা দেখতে পান, তাঁদের ফর্ম আগে থেকেই পূরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই ফর্মে ঠিকানার জায়গায় দেওয়া ওই ছাত্রীদের নম্বর। পাশে লেখা রয়েছে, “কল মি ফর সেক্সি গার্ল”। এই ধরনের বার্তা দেখেই মাথায় হাত পড়ুয়াদের। তাঁরা তো ভেবেই পাচ্ছেন না এভাবে কী করে ফর্মের মধ্য়ে এই ধরনের মন্তব্য লেখা হচ্ছে। ঘটনায় হতচকিত মালদা কলেজের অধ্যক্ষও। যদিও, ভুক্তভোগী পড়ুয়ারা ভয়েই বিশেষ মুখ খুলতে চাননি।
কলেজের (Malda College) অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে কী করে এইভাবে পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য় পাচার হয়ে যাচ্ছে? কী করেই বা তা জালিয়াতদের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে? কলেজ সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ফোন নম্বর, ঠিকানা ও অন্য়ান্য তথ্য কলেজের সাইটে নির্দিষ্ট কলামে থাকে। পাসওর্য়াড দিয়ে লগ ইন করলেই সেই তালিকা থেকে সমস্ত তথ্য় পাওয়া যায়। ফলে খুব সহজেই পাসওয়ার্ড জানতে পারলেই সমস্ত তথ্য় হাতের মুঠোয় আসা সম্ভব।
ইতিমধ্য়েই এই ঘটনাটি গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “আমরা পড়ুয়াদের চিহ্নিতকরণেই তাদের ফোন নম্বর, ঠিকানা এসব নথিভুক্ত করি। করোনার জন্য এ বার ফর্ম ফিলাপ অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। সেখানে যে এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বুঝতে পারেনি কেউ। এখনও পর্যন্ত মোট দশজন ছাত্রী অনলাইনে মালদা কলেজ থেকে ফর্ম জমা দিয়েছেন। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। দোষীদের উচিত শাস্তি হবে।”
সম্প্রতি, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে শংসাপত্র ও মার্কশিট জাল করার অভিযোগ উঠেছিল গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাল শংসাপত্র তৈরির কাজে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরেই অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ অভিযোগ এমনটাই। TV9 -এর খবরের জেরে সামনে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সক্রিয় জাল চক্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের নোডাল অফিসার রাজীব পুততুণ্ড বলেন, “কিছু মার্কশিট উদ্ধার হয়েছে। দেখলাম, সেই মার্কশিটে যে স্নাতকোত্তর পড়ুয়ার নামে করা হয়েছে সেখানে সই রয়েছে সুনন্দ দাসের। কিন্তু, ২০১৯-এ সুনন্দ দাস ছিলেন না ওই পদে। তখনই বুঝতে পারি মার্কশিটটি জাল। এরকম একাধিক জাল শংসাপত্র বেরিয়েছে।” অনতিপরেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তের জেরে ধরা পড়ে সেই জাল কারবারির দল।
আরও পড়ুন: ‘সোনার চাঁদ’ শ্যামের ৪ কোটি টাকার বিস্কুট-বাঁট রামের লকারে, চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের!
আরও পড়ুন: Exclusive: ফের কি ফুল বদল? খবর শুনেই চটলেন চন্দনা