মালদা: তৃণমূল নেতার গাড়ি থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও হাঁসুয়া উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। কালিয়াচকের ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) সদস্যার স্বামীর গাড়ি থেকেই একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ টি হাঁসুয়া উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষ অবশ্য পলাতক।
বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি থেকে আচমকাই উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও হাঁসুয়া উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে খোঁজ করার পরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষের নাম উঠে আসে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের স্ত্রী নিরুপমা মণ্ডল ঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। যদিও, ওই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ করছে।
সোমবারই বিজেপির ১০ জন সদস্যে সমর্থনে কালিয়াচকর ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দখলে এনেছে তৃণমূল। ওই ব্লকের বর্তমান তৃণমূল সভাপতি দূর্গেশ সরকারের নেতৃত্বে বিজেপির সদস্যরা তৃণমূলকে সমর্থন করে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতিকে অপসারিত করেন। তৃণমূল সভাপতি দূর্গেশ সরকারের সঙ্গে এই অপসারণের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। দলের অন্দরের গুঞ্জন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই অপসারণ।
বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলেরই একজন পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতিকে অপসারণের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মালদা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি চন্দনা সরকার। দলেরই কিছু নেতা তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিলও করেন খোদ বিধায়ক। ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির হাত ধরার ঘটনায় শাসক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব বলে মাঠে নেমেছি। সেখানে দলের সদস্যরাই যদি এইধরনের কাজ করেন তবে তা অত্যন্ত লজ্জার। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল করেছি। জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। প্রয়োজনে আরও বড় পদক্ষেপ করব।”
ঘটনায় বিজেপি নেতা গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। সেখানে তৃণমূল নেতার গাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া যাবে তা আর নতুন কথা কী! এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এইসব নেতাদের জন্যই রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে।” আরও পড়ুন: শ্যামের ‘কুকীর্তি’, দেড় কোটি টাকার পার্ক রাজ পরিবারকে ফেরাচ্ছে বিষ্ণুপুর পুরসভা!