AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maldah Fake Factory: জিন্দাল গোষ্ঠীর লোগো লাগিয়ে দেদার চলত সেই ব্যবসা… মালদার তরুণ ব্যবসায়ীর কীর্তি ফাঁস

Maldah Fake Factory: পুলিশ সুপার ও ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মালদা-সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের বাজারে তাদের সামগ্রী বিক্রির হার কম হতেই তদন্ত শুরু করেছিলেন তাঁরা।

Maldah Fake Factory: জিন্দাল গোষ্ঠীর লোগো লাগিয়ে দেদার চলত সেই ব্যবসা... মালদার তরুণ ব্যবসায়ীর কীর্তি ফাঁস
মালদায় জাল কারখানা
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 4:30 PM
Share

মালদা: জাল কারখানার হদিশ মিলল মালদায়। তৈরি হচ্ছে জিন্দাল গোষ্ঠীর নামী ব্র‍্যান্ডের স্টিল সামগ্রী। উদ্ধার নামী ব্র‍্যান্ডের লেভেল লাগোনো ৫ কোটি টাকার নকল সামগ্রী। অথচ সকলের চোখের সামনেই জাতীয় সড়কের ধারে চলছে কারখানা। গত পাঁচ বছর ধরে বহাল তবিয়তে জিন্দাল ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগানো সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী। মালদা সহ উত্তরপূর্ব ভারতে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন মালদার এক ব্যবসায়ী। গোপন সূত্রে খবর যায় জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্তৃপক্ষের কাছে। অবশেষে পর্দাফাঁস। এমন নকল সামগ্রী তৈরির কারখানার পর্দা ফাঁস করল জিন্দাল গোষ্ঠীরই পাঠানো তদন্তকারী দল।

পুলিশ সুপার ও ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মালদা-সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের বাজারে তাদের সামগ্রী বিক্রির হার কম হতেই তদন্ত শুরু করেছিলেন তাঁরা। এরপরেই এমন কারখানার হদিশ পান। বিষয়টি মালদা জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। তারই পরামর্শে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অভিযান চালানো হয়।

প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি নামী ব্র্যান্ডের নকল সামগ্রী উদ্ধার হয়। চিন থেকে স্টিল কিনে তার মধ্যে নামী ব্র‍্যান্ডের জিন্দাল কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করতেন। রিতেশ চিৎলাঙ্গিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে এক্ষেত্রে। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।

জিন্দাল গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলছেন, “আমাদের কাছে খবর আসে, আমাদের মাল আমরা ছাড়া আর কে বিক্রি করে। আমাদের বিজনেস টিমের থেকে খবর আসে মহেশ্বরী স্টিল আমাদের লোগো লাগিয়ে জিনিস বিক্রি করছে। সেটা সস্তা দামে বিক্রি হচ্ছিল। তখন লোকাল থানায় অভিযোগ করি। তদন্তে নেমে দেখি জিন্দালের লোগো লাগিয়ে কম দামে জিনিস বিক্রি হচ্ছে।”

যদিও অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের সামনে এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। রিতেশের বক্তব্য, “আমি জিন্দালের লোগো লাগিয়েছি, কারণ ওদের থেকে কিছু কাঁচামাল কিনেছি। আগে আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলি বিষয়টি নিয়ে, পরে সব বলব।” তবে তিনি যে জিন্দাল গোষ্ঠীর ডিস্ট্রিবিউটর নন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন।