Malda Airport: এক গোটা বিমানবন্দরের দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়র! বাংলায় হচ্ছেটা কী?
Malda Airport: বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! মালদহ বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই বিমান বন্দর থেকেই নাকি প্লেন উড়বে! রাজ্য সরকার বিনা মূল্যে এই বিমানবন্দরের ১৪১ একর জায়গা ২০১৭ সালে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৩০ বছরের জন্যে লিজ নেয়।

মালদহ: এয়ারপোর্টেরও জমি দখলের অভিযোগ। বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার জমিতেও চোখ পড়েছে প্রোমোটারের। আবার সেই বিমানবন্দরে নজরদারির দায়িত্বে এক সিভিক ভলান্টিয়র। মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্তের দাবি তুলে চিঠি দিলেন সাংসদ ইশা খান। অন্যদিকে উত্তর মালদহে নতুন এয়ারপোর্ট গড়ে তোলার গ্রিন সিগন্যাল। পরিত্যক্ত বিমানবন্দর নিয়ে একই অভিযোগ তুলে পরিত্যক্ত এয়ারপোর্ট বাতিল করে নতুন এয়ারপোর্ট করার প্রস্তাব আরও এক সাংসদের। যে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রস্তাবিত ১২০ টি বিমানবন্দরর মধ্যে একটি মালদহে হওয়ার সম্ভাবনা। শীঘ্রই মালদায় জমি পরিদর্শনে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! মালদহ বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই বিমান বন্দর থেকেই নাকি প্লেন উড়বে! রাজ্য সরকার বিনা মূল্যে এই বিমানবন্দরের ১৪১ একর জায়গা ২০১৭ সালে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৩০ বছরের জন্যে লিজ নেয়। উদ্দেশ্য রাজ্যের উদ্যোগে বিমান ওড়ানো এবং এয়ারপোর্টের দেখাশোনা করা। নিয়মিত এর জন্যে বহু কোটি টাকাও এসেছে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের কাছে।
অভিযোগ প্রমোটারদের থাবা বসতে চলেছে বিমানবন্দরের জমিতে। চারপাশে হাইরাইজ বিল্ডিং হয়েছে। এয়ারপোর্টের দফতরে জঙ্গল আবর্জনা। আর অন্যদিকে রানওয়েতে চড়ছে গরুর পাল। TV9 বাংলায় সে খবর আগে একবার সম্প্রচারিতও হয়।
খবরের জেরে বিমানবন্দরের বাইরে থেকে ভেতরে সাধারণেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু সেই ব্জ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। একটি মাত্র সিভিকের দায়িত্বে গোটা বিমানবন্দর। তবে পেছন থেকে ঢুকে পড়ছে গরু, ছাগল, মানুষ। সকলেই। প্রধান গেটের বাইরে একজন সিভিক বসে সাংবাদিকদের বলছেন, “ভেতরে যাওয়া নিষেধ।”
অভিযোগ উঠছে, এ অবৈধ কাজ, জমি দখল। একইসঙ্গে বিমান ওড়ানোর ভাঁওতা দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ চলছে বলে অভিযোগ উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর। প্রায় একই অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ দক্ষিণ মালদহে সাংসদ ইসা খান চৌধুরী চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উত্তর জানতে চেয়েছেন এবং বিমানবন্দরে এই অবস্থার দায় রাজ্যের ওপর চাপিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে, খগেন মূর্মূ ভারতীয় নগর বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন মালদহে বিশেষ করে ওল্ড মালদহ বা গাজোলে একটা বিমান বন্দর করার। যার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে কেন্দ্রের তরফে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেছেন সাংসদ-সহ তাঁর প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল, যাঁর মধ্যে থাকবেন বিমানবন্দর অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও। দক্ষিণ মালদহের সাংসদ ইশা খানের বক্তব্য, “২০১৬ সালে জমি এক্সটেনশনের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। একটা MOU, ল্যান্ড এক্সটেনশন লিজ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে। ৩০ বছরের জন্য। কিন্তু ওই জমির কী হল? ৯ বছরের মধ্যে রাজ্য সরকার কী করছে?”
জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন চৈতালি সরকার বলেন, “এখন এই বিমানবন্দরে যথেষ্ট পাহারাদার থাকে। এখন লোকজন ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। আপাতত সেই পরিকাঠামো রয়েছে, যে বিমান চলাচল করতে পারে। তবে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এখান থেকে ১৫ কোটি টাকার একটা প্রস্তাব গিয়েছে।”





