Malda: এই বাড়ির মালিকের নামও উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়!
Malda: পঞ্চায়েত সদস্যা লুৎফুননেসার দেওর পেশায় রেশন ডিলার। রফিকুল ইসলামের নাম রয়েছে এই তালিকায়। যার অট্টালিকার মত বাড়ি রয়েছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে রফিকুলের বলেন, "২০১৮ সালের যোজনা ঘরের তালিকায় আমার নাম ছিল। তখন আমি ডিলার ছিলাম না। এখন কীভাবে নাম আছে সেটা জানি না।"
মালদহ: আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়ের আত্মীয় নাম দেখে হইচই। প্রাসাদ প্রমাণ অট্টালিকার মালিক পেশায় রেশন ডিলারের নাম উঠল সেই তালিকায়। তবে নাম নেই সেই বাড়ির কাছেই টালির বাড়িতে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের। দশ হাজার টাকা কাটমানি না দিলে আবাসের তালিকায় উঠছে না নাম। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর। ঘটনা সামনে আসতেই জেলা শাসকের নির্দেশে তদন্তে বিডিও।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুল গ্রামে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আবাস প্লাসের সার্ভে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পঞ্চায়েতে প্রাথমিক আবাস যোজনার নামের তালিকা এসেছে। বহু এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। এবার এই সোনাকুল গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় দেখা গেল ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি। ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্নারা খাতুন। স্বামী কাজী নজরুল ইসলাম ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বাড়ির উপরে টালির চাল মাটির দেওয়াল। ভগ্ন দশা ঘরের। অর্থাভাবে পাকা বাড়ি করতে পারেননি। নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়।
আবাস প্লাসের সার্ভের সময় প্রতিনিধিরা এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তারপরে হঠাৎ তালিকা থেকে বাদ চলে গেল নাম। ওই উপভোক্তার অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা তার কাছে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চেয়ে ছিল। তিনি দিতে পারেননি বলে নাম বাদ গিয়েছে। অথচ এলাকার রেশন ডিলার থেকে শুরু করে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়দের যাদের পাকা বাড়ি। তাদের নাম রয়েছে তালিকায়।
পঞ্চায়েত সদস্যা লুৎফুননেসার দেওর পেশায় রেশন ডিলার। রফিকুল ইসলামের নাম রয়েছে এই তালিকায়। যার অট্টালিকার মত বাড়ি রয়েছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে রফিকুলের বলেন, “২০১৮ সালের যোজনা ঘরের তালিকায় আমার নাম ছিল। তখন আমি ডিলার ছিলাম না। এখন কীভাবে নাম আছে সেটা জানি না।”
এ দিকে, হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিয়র ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাবলি খাতুনের স্বামী ফিরোজ হোসেন মেনে নিয়েছেন এরকম অনেকের নাম ছিল তালিকায়। তাঁর বক্তব্য, প্রত্যেকের নাম কাটা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর আপাতত প্রাথমিক তালিকা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাদের অভিযোগ আসবে সেই ভাবে নাম বাদ যাবে সুপার চেকিংয়ের পর।
বিডিও তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, “অনেকে সার্ভের সময় মিসগাইড করতে পারে। তাই প্রাথমিক তালিকার পর অভিযোগের ভিত্তিতে সুপার চেকিং করে চূড়ান্ত তালিকা হবে। এরকম যাদের নাম থাকবে, তাদের সেই নাম বাদ যাবে।”