Malda Rape Case: ‘বর ফোন করেছে, জলদি এসো…’, প্রতিবেশীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘৃণ্য অভিজ্ঞতার শিকার গৃহবধূ
Malda Rape Case: জানা গিয়েছে, গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে সেখানেই থাকতে হয়। মালদা সাহাপুর অঞ্চলের চর কাদিরপুর এলাকায় বাড়িতে একাই থাকেন স্ত্রী।
মালদা: স্বামীর ফোন এসেছে বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। গ্রেফতার প্রতিবেশী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা সাহাপুর অঞ্চলে। গ্রামেই সমস্যা সমাধানের সালিসি করার চেষ্টাও হয়। তবে অভিযুক্ত সেখানে আসেনি। এমনকি নির্যাতিতাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে অভিযুক্ত, এমনই অভিযোগ পরিবারের। বাধ্য হয়ে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ।
জানা গিয়েছে, গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে সেখানেই থাকতে হয়। মালদা সাহাপুর অঞ্চলের চর কাদিরপুর এলাকায় বাড়িতে একাই থাকেন স্ত্রী। গৃহবধূর অভিযোগ, প্রতিবেশী ললিত মন্ডল বেশ কয়েকদিন আগে তাঁর বাড়িতে আসে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ললিতা তাঁকে বলেছিল, তাঁর স্বামী ফোন করেছেন।
এরপরই ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রতিবেশী ললিত মণ্ডলের বাড়িতে যান। এরপর অভিযুক্ত ললিত মন্ডল তাকে জোরপূর্বক আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে বলে কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। ভয়ে সে কথা কাউকে বলতে পারিনি। পুলিশ বয়ানে তেমনটাই জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
পরে কয়েকজন প্রতিবেশীকে তিনি গোটা বিষয়টি জানান। ঘটনা জানতে পেরে মীমাংসা করার জন্য অভিযুক্তকে বেশ কয়েকবার সালিশিসভায় ডাকা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ললিত মন্ডল সেখানে আসেনি। কিছুদিন আগেও নির্যাতিতার স্বামী ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন। গৃহবধূ সমস্ত ঘটনা তাঁর স্বামীকে জানান। গৃহবধূ আরও জানান, এলাকায় এর আগেও এই ধরনের ঘটনা গ্রামে ঘটিয়ে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে নিয়েছে ওই অভিযুক্ত। প্রভাব খাটিয়ে ওই অভিযুক্ত নির্যাতিতাদের থানায় অসতে দেয় না বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত ললিত মন্ডলের নামে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ।
অভিযোগ পেয়েই তত্পর পুলিশ। বুধবার রাতেই গোপন ডেরা থেকে ললিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওই নির্যাতিতা বলেন, “ভয় দেখাত আমাকে। ভয়ে অনেক দিনই চুপ করে ছিলাম। কিন্তু মনে অশান্তি চলছিল। এইভাবে দোষ করে পার যাওয়া যায় না। পুলিশকে প্রথমেই ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। পরে আমার কয়েকজন প্রতিবেশীকে বিষয়টা জানাই। ওঁরাই সালিশিসভা ডাকার কথা বলেন। কিন্তু অভিযুক্ত সেখানে আসেনি কোনওবারই। পরে থানায় খবর দিই। স্বামী বাড়ি ফিরে আসাতে সব কথা বলি ওকে। ওই সাহস জুগিয়েছিল মনে।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই তত্পরতার সঙ্গে বিষয়টা দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।