Maldah Wrong Treatment: হাত কেটেছে কাঁচিতে, দেওয়া হয়েছে কুকুরের ইঞ্জেকশন, অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা সরকারি হাসপাতালে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 02, 2022 | 1:10 PM

Maldah Wrong Treatmnet: চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হয়, রোগীকে কি কুকুর কামড়ানোর ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল? কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যান তিনি। 

Maldah Wrong Treatment: হাত কেটেছে কাঁচিতে, দেওয়া হয়েছে কুকুরের ইঞ্জেকশন, অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা সরকারি হাসপাতালে
মালদায় ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ

Follow Us

মালদা: হাত কেটেছিল কাঁচিতে। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হল কুকুর কামড়ের ইঞ্জেকশন, র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই রোগী। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিবারের সদস্যরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক সদর এলাকায়। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্তাদের।
ঘটনার জেরে হাসপাতালে চিকিৎসক সুব্রত চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গীতা গুপ্তা হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার কলম পাড়ার বাসিন্দা। তিনি একটি সেলাইয়ের দোকান চালান। সেলাই করতে গিয়ে কাঁচি দিয়ে তাঁর হাতের তালু কেটে যায়। তিনি দেরি না করে স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান টিটেনাসের টিকা নিতে। সে সময় হাসপাতালে কুকুর বেড়াল কামড়ানোর ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছিল। তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তাঁর হাত কেটেছে টিটেনাস নিতে হবে।

সে সময় এক কর্তব্যরত নার্স সঙ্গীতার হাতে পরপর দুটি ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন। এরপর আবার তাঁর হাতে তৃতীয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় সঙ্গীতার সন্দেহ হয় এবং তিনি ইঞ্জেকশন দিতে বাধা দেন। কর্তব্যরত নার্সকে জিজ্ঞেস করেন তাঁকে এত ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে কেন? তখনই তিনি জানতে পারেন, তাঁকে ভুলবশত কর্তব্যরত নার্স কুকুর কামড়ানোর অ্যন্টি র‍্যাবিস ইঞ্জেকশন দিয়ে দিয়েছেন। তিনি তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের বিএমওএইচ চিকিৎসক অমল কৃষ্ণ মন্ডলের কাছে ছুটে যান।

এ প্রসঙ্গে সঙ্গীতা গুপ্তা বলেন, “আমার কাঁচিতে হাত কেটে গিয়েছিল। আমি টিটেনাস নিতে সরকারি হাসপাতালে এসেছিলাম। আমাকে প্রথমে একটা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেটা ভেবেছিলাম টক্সাইড। তারপর দেখি আবার ইঞ্জেকশন দিতে এসেছে। আবার ইঞ্জেকশন দিলে আমি প্রশ্ন করি, এটা কীসের ইঞ্জেকশন? তখন আমাকে বলে, আপনাকে কীসে কামড়েছে? আমি তখন বলি কাঁচিতে হাত কেটেছে। তখন বলতে শুরু করে না না টক্সাইডই দিয়েছি।”

চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হয়, রোগীকে কি কুকুর কামড়ানোর ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল? কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যান তিনি।

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন,  “আমি বিষয়টা এই মাত্র শুনলাম। কী ঘটেছে, সেটা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমি অন্য একটা সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, টক্সাইডই দেখা হয়েছিল বলে নার্সরা জানাচ্ছেন। আসলে সে সময় অনেক রোগীকে কুকুর কামড়ানো রোগীকেও ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”

Next Article