Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: দুশোর বেশি পরিবারের ভরসা অগভীর নলকূপ, আর্সেনিকযুক্ত জলে বাড়ছে রোগ

Malda: নেই পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, দুশোর বেশি আদিবাসী পরিবারের ভারসা অগভীর নলকূপ।

Malda: দুশোর বেশি পরিবারের ভরসা অগভীর নলকূপ, আর্সেনিকযুক্ত জলে বাড়ছে রোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2022 | 5:53 PM

মালদা: তীব্র জল সঙ্কটে গোটা গ্রাম। তীব্র জলকষ্টে (Water Crisis) ভুগছে দুশোর বেশি আদিবাসী পরিবার। অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামে কখনওই পানীয় জলের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের আজও ভরসা করেন হাতেগোনা কয়েকটি অগভীর নলকূপের উপর। প্রতিদিন জল আনতে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয় গ্রামের মহিলাদের। যেতে হয় অনেক দূর। যদিও তাতেও যে পুরোপুরি সমস্যার সমাধান হয় এমনটা নয়। 

অভিযোগ, অগভীর নলকূপের আর্সেনিক যুক্ত জল পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। রোগে ভুগছেন গ্রামের প্রায় প্রতিটা পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জলের জন্য প্রশাসনের তরফে পাইপলাইন পোঁতা হলেও জলকষ্টের সমস্যা দূর হয়নি। মেলেনি পরিশুদ্ধ পানীয় জল। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় মিশন বলেন, “এক বছর হয়ে গেল জলের পাইপলাইন বসানো হয়েছে। মাঝে দুমাস জল আসে। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায়। আশেপাশের গ্রামে বাড়ি বাড়ি জলের লাইন চলে গেলেও এখানে কিছুই হয়নি। ব্লক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতেও আবার বারবার জানাই কিন্তু তাঁরা আমাদের কথায় কর্ণপাতই করেনি। ঠিকাদারকে জানালে সে জানায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও হয়নি। বাধ্য হয়েই আমাদের গ্রামের লোকেরা অগভীর নলকূপের জল পান করে। এই জল খেয়েই সকলের পেটের সমস্যা সহ নানা রকম রোগ ধরা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাদের গ্রামের দিকে একটু নজর দিন। আমাদের কথা ভাবুন।” 

ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের আর এক বাসিন্দা প্রতিমা দাস বলেন, “শুদ্ধ পানীয় জল নেই। কিন্তু, জল কষ্ট দূর করতে আমরা ৩৫ ফুট গভীর টিউবওয়েল বসিয়েছি। আমরা গরীব মানুষ। তাই বাড়ি বাড়ি তো আর নিজেরা টিউবওয়েল বসাতে পারিনা। তাই কয়েক ঘর মিলে একটা করে কল নিজেরাই বসিয়েছি। কিন্তু, ওই জল খেয়ে শরীর খারাপ হচ্ছে। সরকারি কর্তাদের সব জানিয়েছি। ওনারা বলছেন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, আমাদের এখানে কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়েই এই অগভীর নলকূপের জল খেতে হচ্ছে। রোগেও ভুগছেন বহু মানুষ।”