Malda: ভাল নম্বর পেতে চাই ৪০০ টাকা! ‘ঘুষ’ নিয়ে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর অভিযোগে উত্তপ্ত চাঁচল কলেজ
Student agitation: 'যারা টাকা দিচ্ছে ভাল নম্বর পাচ্ছে। পরীক্ষা ভাল হচ্ছে, অথচ টাকা না দিলে আশাতীত মার্কস মিলছে না।'
মালদহ: টাকার (money) বিনিময়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় (Exam) নম্বর। যে পড়ুয়ারা টাকা দিতে পারছেন বা দিতে অস্বীকার করছেন, তাঁরা পরীক্ষায় আশাতীত নম্বর পাচ্ছেন না। আর এ কাজটা করছেন কলেজের (College) কয়েকজন অধ্যাপক! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে কলেজের অধ্যক্ষ ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্যদের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল কলেজে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও এবং বিক্ষোভ অবস্থান করে টিএমসিপি।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ চাঁচল কলেজ। করোনা পরিস্থিতিতে (Corona situation) কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে কলেজে পঠন-পাঠন।পুরোটাই এখন অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন থেকে পরীক্ষা চলছে অনলাইনে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, চাঁচল কলেজের আরবি ও বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে পূর্ণ নম্বর দিচ্ছেন। যেসমস্ত ছাত্রছাত্রী তাঁদের কাছে টিউশন পড়বে, তাঁরা সঠিক নম্বর পাচ্ছেন। তবে শুধু পড়লেই হবে না। পরীক্ষায় ভাল নম্বরের জন্য কারও কাছে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। কারও কাছে ৪০০ টাকা। এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশ।
পাশাপাশি শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে খারাপ আচরণ করছেন, এরকম একাধিক অভিযোগ তুলে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাসের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়েন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। যদিও চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমি বিষয়টি দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঠিক কী ঘটেছে এদিন?
‘লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই,’ ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ,’ ‘অভিষেক বন্দ্যোবাধ্যায় জিন্দাবাদ’ – অধ্যক্ষকে ঘিরে তাঁর ঘরে বসে এমনই সব স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা। টিএমসিপি-র সদস্য এক পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের কলেজে বাংলা এবং আরবি বিভাগে যে সমস্ত স্যর রয়েছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে, তাঁরা টাকার বিনিময়ে মার্কস বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর আরও কলেজের টিউশন ফি-র মতো করে তিনশো থেকে চারশো টাকা করে চাওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের কাছে। যারা টাকা দিচ্ছে ভাল নম্বর পাচ্ছে। পরীক্ষা ভাল হচ্ছে, অথচ টাকা না দিলে আশাতীত মার্কস মিলছে না।”
আরেক পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। অধ্যাপকরা মোটা অ্যামাউন্টের টাকা নিয়ে পরীক্ষায় নম্বর বাড়াছেন বলে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।”
এদিকে যে অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অধ্যক্ষ এই অবস্থান বিক্ষোভের পর অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আর অধ্যক্ষের কথায়, “অভিযোগ পেয়েছি। অধ্যাপকদের কাছে খবর নেব। আার যে ছাত্র এই অভিযোগ করেছে, সে অনুপস্থিত। তার কাছে খবর নিয়ে তার পর ব্যবস্থা নেব।” তবে তাঁর কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ মেলেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Goutam Deb: গৌতমের ডানা ছাটল তৃণমূল, দলের চাপে এখন কোণঠাসা প্রাক্তন মন্ত্রী