AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: মৃতদের জব কার্ডই তৃণমূল নেত্রীর রোজগারের উৎস! ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হুলুস্থুল

Corruption: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ না করেই ৩০ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে!

Malda: মৃতদের জব কার্ডই তৃণমূল নেত্রীর রোজগারের উৎস! ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হুলুস্থুল
পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 5:08 PM
Share

মালদহ: মৃত ব্যক্তিদের নামের জব কার্ড ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যা ও স্বামীর বিরুদ্ধে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ না করেই ৩০ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে! এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চরম বিক্ষোভ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দৈলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের।

এদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ ওঠাতে এসে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা জনতার তাড়া খেয়ে পালান অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যার ভাসুর আরও এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। বুধবার এমন ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

অভিযোগ, দৌলতনগর গ্রাম-পঞ্চায়েতের ১০৬ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্যা কুলসুম বিবি ও তাঁর স্বামী আরজাউল হক মিলিত ভাবে এই আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৬ নম্বর সংসদ এলাকায় লোখিয়া ঘাট ব্রিজ থেকে ছুট্টামাঠ পর্যন্ত একটি রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে জানা যায়, ওই কাজ না করেই ওই কাজের জন্য বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন ওই সংসদের শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যা কুলসুম বিবি ও তাঁর স্বামী আরজাউল হক।

কীভাবে তোলা হচ্ছে টাকা?

অভিযোগ গুরুতর। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন মৃতদের জব কার্ড ব্যবহার করে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে টাকা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা। অথচ ওই এলাকায় মাটি ভরাটের মতো কোনও কাজই হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আর পঞ্চায়েত সদস্যার এই কাজে তাঁকে মদত জুগিয়েছেন স্বামী আরজাউল হক।

এদিকে এ নিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখানোর সময় সেখানে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার ভাসুর গিয়ে গ্রামবাসীদের হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে ওখান থেকে পালিয়ে যান জিয়াবুর হক নামে ওই যুবক।

গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁরা একজোট হয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত হয় ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

রাজনৈতিক চাপানউতোর: 

শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। সম্পূর্ণ অভিযোগ দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হজরত আলি। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা কুলসুম বিবির স্বামী আরজাউল হক।

অন্যদিকে সমস্ত ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া কটাক্ষের সুরে বলেন, “রাজ্য-জুড়ে সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত গুলি একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছে। শুধুমাত্র এলাকার উন্নয়ন কাগজে-কলমেই হচ্ছে। বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটছে মার। না হলে প্রাণনাশের হুমকি।”

আরও পড়ুন: North Dinajpur: বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতেই হবে, স্ত্রীকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে!