North Dinajpur: বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতেই হবে, স্ত্রীকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে!
Murder: টাকা না পেয়ে বউকে পিটিয়ে মেরেই ফেললেন স্বামী। খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
উত্তর দিনাজপুর: আবারও পণের বলি এক গৃহবধূ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য নিয়মিত চাপ দেওয়া হত স্ত্রীকে। আর তার প্রতিবাদ করলেই বউকে শারীরিক নির্যাতন করতেন স্বামী। টাকা না পেয়ে বউকে পিটিয়ে মেরেই ফেললেন স্বামী। খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহারের বারোডাঙি গ্রামে।
মৃতার বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহারের গুলন্ধর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোডাঙ্গি গ্র্রামের বাসিন্দা মুন্না ওরফে ভাদু শেখের সঙ্গে মালদার চাঁচল থানার খরবা গ্রামের রহিমা বিবির বিয়ে হয় গত দশ বছর আগে। বিয়ের সময় যৌতুক ও পণ বাবদ গয়না, সোনা, টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবু জামাই বাবাজির চাওয়ার শেষ নেই।
অভিযোগ, প্রায়শই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিয়ে মারধর করা হত রহিমা বিবিকে। মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে শ্বশুরবাড়ি থেকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনকী স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি রহিমাকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হয়েছে।
সালিশি সভায় মিটিয়ে নিলেও মঙ্গলবার রাতে আবারও রহিমা বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে তাঁকে মারধর করা হয়। রহিমা তার প্রতিবাদ করতেই তাঁকে আরও মারধর শুরু করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে তাঁকে মেরেই ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে এলাকাবাসীদের সূত্রে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। মেয়ের স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে ইটাহার থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। তবে অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।