AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol Municipal Corporation Election: দল টিকিট দিল কী দিল না ‘কুছ পরোয়া নেহি’! নির্দল হয়ে লড়ার জন্য আগেভাগেই পিচ তৈরি রাখছেন ওঁরা

Asansol Municipal Corporation Election: মনোনয়নের প্রথম দিনেই দেখা গেল নির্দল হিসাবে শাসক কিংবা বিরোধী দুই পক্ষেরই বিদায়ী কাউন্সিলর বা সক্রিয় কর্মীরা ফর্ম তুলছেন।

Asansol Municipal Corporation Election: দল টিকিট দিল কী দিল না 'কুছ পরোয়া নেহি'! নির্দল হয়ে লড়ার জন্য আগেভাগেই পিচ তৈরি রাখছেন ওঁরা
আসানসোল পৌরনিগমে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র তোলার হিড়িক (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2021 | 3:18 PM
Share

আসানসোল: কথায় আছে মর্নিং শোজ় দ্য ডে। শাসক-বিরোধী কোনও পক্ষেরই এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়নি। তার আগেই দেখা গেল মনোনয়ন তোলার হিড়িক। মনোনয়নের প্রথম দিনেই দেখা গেল নির্দল হিসাবে শাসক কিংবা বিরোধী দুই পক্ষেরই বিদায়ী কাউন্সিলর বা সক্রিয় কর্মীরা ফর্ম তুলছেন। আসানসোলে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।

কৈলাশ দিওয়ান, একসময় ছিলেন বিজেপিতে। বিক্ষুব্ধ হয়ে এখন রিপাবলিকান পার্টির হয়ে ফর্ম তুলেছেন। মহম্মদ জাকির হোসেন কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ও গতবারের কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি এসেছিলেন মনোনয়ন ফর্ম তুলতে। তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন দীপক সাও। সংরক্ষণের গেঁরোয় ওই এলাকাটি এখন মহিলা প্রার্থী। নিজের স্ত্রী নির্মলা সাঁওকে নিয়ে হাজির হয়ে ফর্ম তুললেন তিনি।

নির্মলা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন , দল যদি টিকিট দেয় তবে ভালো। যদি না দেয় তবে নির্দল হিসাবে ওই ওয়ার্ডে লড়াই করবেন তিনি। মনোনয়নের প্রথমদিনে কংগ্রেস বিজেপি তৃণমূল কর্মীদের এভাবে দেখা গেল নির্দল হিসাবে ফর্ম তুলতে। তাঁরা সবাই এক বাক্যেই জানালেন দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চান তাঁরা।

অর্থাৎ এবার আসানসোল পৌরনিগমের ভোটে গোঁজ প্রার্থী বড় ফ্যাক্টর বা কাঁটা হতে চলেছে তা প্রথম দিনেই হল প্রমাণিত।উল্লেখ্য, আসানসোল পৌরনিগমের নির্বাচন ২২ জানুয়ারি। সোমবার থেকে লাগু হল নির্বাচনী বিধি। ২৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন তোলা জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩ জানুয়ারি। স্কুটনি ৪ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ৬ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারি নির্বাচন, ২৪ জানুয়ারি পুনঃনির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২৫ জানুয়ারি। ১০৬ টি ওয়ার্ডের ১০২০ টি বুথে প্রায় ৯ লক্ষের উপর ভোটার ভোট দান করবেন।

প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী নির্মলা সাঁও বলেন,  “আমার অধিকার আছে, আমি যে কোনও টিকিটেই লড়তে পারি। আমার নির্দল হিসাবে লড়ার ইচ্ছা রয়েছে। টিকিট নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।”

কৈলাস দিওয়ান বলেন, “আমি আসানসোলে বিজেপির ফাউন্ডার মেম্বার। ১৯৮৭ সালে আমরা আসানসোলের ১৫ ছেলে নিয়ে সংগঠন গড়েছিলাম। পরে সিপিএমের দালালরা ঢোকে, পরে তৃণমূলের দালালরা ঢুকেছে। এখন বিজেপির লোক বিজেপিকে হারাতে ব্যস্ত। গত নির্বাচনে যেখানে ৩০ টা আসনে জেতার কথা ছিল, সেখানে মাত্র ৮টায় জিতেছে। ৮টার মধ্যে ৬ জন তৃণমূলে চলে গিয়েছে। স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি দলকে নষ্ট করছে। তাই আমি নির্দল হিসাবেই লড়তে চাই।”

বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ জাকির হোসেন, “নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র তুলেছি। দল টিকিট দেয়, সেটা ভালো। যদি টিকিট না দেয়, তাহলে তার বিকল্প নির্দল। আমি নির্দল হিসাবেই লড়তে চাই।”

আরও পড়ুন: হাওড়াকে বাদ রেখে কেন ৪ পুরনিগমে নির্বাচন? মামলা দায়ের হাইকোর্টে

আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, একই সঙ্গে ছাড়পত্র পেল দু’টি টিকা