Chandrokona News: ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল বাচ্চা ছেলেটা, আচমকাই বিকট শব্দ… বাড়ির লোক দেখেন ছাদেই কাতরাচ্ছে সে
Chandrokona News: জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল নাগাদ নাড়াজোল গ্রামের অলোক পোড়ার একমাত্র ছেলে সবুজ তাদের একতলা বাড়ির ছাদে উঠেছিল ঘুড়ি ওড়াতে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: বিকালের পড়ন্ত রোদ। বছর শেষের মজায় পড়াশোনাতেও ছুটি। বছর বারোর ছোট্ট সবুজের মন হয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানোর। নিজের বাড়ির ছাদেই লাটাই-সুতো আর ঘুড়ি নিয়ে উঠে পড়েছিল সে। বাড়ির লোক তা জানতও। ঘুড়িও উড়ছিল। আচমকাই সুতো আটকে যায় বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া তারে। স্বাভাবিকভাবেই ওত কিছু না ভেবে সবুজ ছাদে পড়ে থাকা লাঠি নিয়েই সুতো ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। আর তারপরই বিকট আওয়াজ। বাড়ির নীচ থেকে যতক্ষণে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন, ততক্ষণে মাটিতে পড়ে গোঙাচ্ছে সে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার নাড়াজোল গ্রামের।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল নাগাদ নাড়াজোল গ্রামের অলোক পোড়ার একমাত্র ছেলে সবুজ তাদের একতলা বাড়ির ছাদে উঠেছিল ঘুড়ি ওড়াতে। আর সেই সময় বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার বিদ্যুতের তারে আটকে যায় ঘুড়িটি। ছোট্ট সবুজ ওত কিছু না ভেবেই বাড়ির ছাদে পড়ে থাকা একটি লাঠি নিয়ে যেই ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার থেকে ঘুড়িটিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে।
বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে নীচ থেকে ছুটে আসেন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা সবুজকে ছাদে পড়ে থাকতে দেখেন। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
তড়িঘড়ি সবুজকে উদ্ধার করে নাড়াজোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সবুজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বাড়ির সদস্যরা চিন্তিত। তাঁরা এ ব্যাপারে কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবে এক প্রতিবেশী বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগেই সবুজকে ছাদে দেখেছি ঘুড়ি ওড়াতে। ও মাঝেমধ্যেই ছাদে ঘুড়ি ওড়ায়। আমরা কাজ সেরে নীচে নেমে যাই। কিছুক্ষণ পর নীচ থেকে ওর বাবা-মায়ের বিশাল চিৎকার শুনতে পাই। ছুটে এসে দেখি এই অবস্থা।”
আরও পড়ুন: BJP: ‘কেউ চিরস্থায়ী নন, দল এক বহমান নদী’, বার্তা সন্তোষের, পুরভোটের আগে তারুণ্যের ঝাঁঝ চায় বিজেপি