ভিডিয়ো: ‘২০০ টাকা রোজগার করে ১০০ টাকা মাল খেয়ে ওড়াচ্ছে’, লাঠি হাতে নিলেন মহিলারাই!
Video: গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, গ্রামের পুরুষরা যা উপার্জন করেন তার অর্ধেকের বেশি টাকা নষ্ট করেন মদের দোকানে মদ খেয়ে।
মালদা: আয় নিমিত্তমাত্র। সেই দিনমজুরির আয়ে একবেলা ভাত জোটে না। কিন্তু, দিনশেষে মদের দোকানে (Liquor Shop) লম্বা লাইন। দিনের পর দিন এভাবে কষ্টার্জিত অর্থ শুধুমাত্র নেশায় অতিব্যয়িত হয় দেখে এ বার হাতে লাঠি তুলে নিলেন মহিলারাই। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে (Liquor Shop) নিজেরাই লাঠি চালিয়ে ভাঙতে শুরু করলেন গ্রামের মহিলারাই। মঙ্গলবার, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াচকের জালুয়াবাধাল পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া গ্রাম। খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এদিন, শতাধিক মহিলা ওই দোকানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান।
গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, গ্রামের পুরুষরা যা উপার্জন করেন তার অর্ধেকের বেশি টাকা নষ্ট করেন মদের দোকানে মদ খেয়ে। ফলে, প্রায়ই আর্থিক টানাটানির সম্মুখীন হতে হয়। অভিযোগ, টাকা না দিলে বাড়িতে জোটে অত্যাচার। অন্যদিকে, যুব সমাজও ওই মদের নেশায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, মদের দোকানের (Liquor Shop) জেরেই এলাকার বাইরের নানা দুষ্কৃতীর আগমন ঘটে। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তারা নানা অভব্য আচরণ করে। ফলে, ভয়ে সন্ধের পর বাড়ির বাইরে বেরনো কঠিন হয়ে পড়ে মেয়েদের। এই পরিস্থিতিতে, গৃহে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মঙ্গলবার গ্রামের মহিলারা মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে মদের দোকান ভাঙতে উঠে পড়ে লাগেন।
বিক্ষোভকারী এক মহিলার কথায়, “আমার স্বামী ২০০ টাকা রোজগার করে। তারমধ্যে ১০০ টাকা মাল খেয়ে উড়িয়ে দেয়। তা হলে সংসার চলবে কী করে? আমার রোজগারে ভাগ বসায়। টাকা না দিলে মারধর করে। আমাদের সকলের কম বেশি একই অবস্থা। সকলের ভাল ভেবেই আমরা নিজেরা আজ হাতে লাঠি তুলে নিয়েছি।” জালুয়াবাধাল অঞ্চলের প্রধান হীরামতি মণ্ডল বলেন, “এলাকা থেকে মদের দোকানটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে পঞ্চায়েতের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এমনকী আবগারি দফতর ও পুলিশ প্রশাসনকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।”
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ