Murshidabad: টোটো নিয়ে বচসা, মুর্শিদাবাদে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই পক্ষ, জখম ৬

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 26, 2022 | 8:25 PM

Murshidabad: ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। মইনুল শেখের পক্ষের একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশের পিকেটও বসানো হয়েছে।

Murshidabad: টোটো নিয়ে বচসা, মুর্শিদাবাদে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই পক্ষ, জখম ৬
মুর্শিদাবাদে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের অভিযোগ

Follow Us

মুর্শিদাবাদ : ফের শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ। এবার মুর্শিদাবাদে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকার শিবনগরে। ঘটনার জেরে এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছে। এক পক্ষের জখমদের মধ্যে রয়েছে মইনুল শেখ (৫২)। তাকে ভর্তি করা হয়েছে ডোমকল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অন্য পক্ষেরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুন কবীর শেখ (৩০), আকাশ আলি শেখ (৫০), আফজল আলি বিশ্বাস (৫৫), গোলাম সারওয়ার (৪৪) ও আবু হানিফ শেখ (২৯)। তাদের ডোমকল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। মইনুল শেখের পক্ষের একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশের পিকেটও বসানো হয়েছে। এলাকায় এখন বেশ আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল চার-পাঁচ দিন আগে থেকেই। একটি, টোটোয় চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। বিষয়টি থানা পর্যন্তও গড়ায়। যদিও বৃহস্পতিবার পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসাও হয়ে গিয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। তারপর এদিন সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। একদিনে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি মইনুল শেখ এবং অন্যদিকে হুমায়ূন কবীর শেখ।

আক্রান্ত মইনুল শেখের বক্তব্য, “ঘাটে কিছু মস্তান পাঠিয়েছিল। আমাকে ঘাটে পায়নি। তারপর বাজারে ধরেছে। আমি যখন বাজার থেকে বেরোচ্ছে, তখন আকাশ, কালু, হুমায়ুনরা আমাকে মেরেছে। কী জন্য মেরেছে, তা আমি বলতে পারব না। কোনও রাগ থাকতে পারে, কিন্তু আমার সঙ্গে কোনওদিন কোনও কথা হয় না। গতকাল থানায় মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। একটা টুকটুকি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। এতেই রাগ ওদের। কাল থানায় মীমাংসা হওয়ার পরেও এই কাজ করেছে। আমাদের ছেলেরাও ছিল বাজারে। তখন ঝামেলাটি হয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে হুমায়ুন শিবিরের আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, “ওখানে আমাদের তিন-চার জন বসেছিল। আকাশ আলি শেখ এক চাচার সঙ্গে কথা বলছিল। কিন্তু কোনও কটূক্তি করেনি। হঠাৎও ওরা উত্তেজিত হয়ে… কাল মারতে পারেনি, তাই আজ প্রস্তুতি নিয়েই ছিল। ওদের হাতে তখন শাবল ও অন্যান্য অস্ত্রও ছিল। এই সব দিয়ে, বাঁশ দিয়ে মেরেছে। পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে বেধড়ক মেরেছে। আকাশের মাথা ফেটে গিয়েছে, হাতও ভেঙে গিয়েছে। হুমায়ূন কবীর শেখেরও মাথা ফেটে গিয়েছে। হাতও বোধ হয় ভেঙে গিয়েছে। এদের ডোমকলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে বহরমপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। থানায় আমাদের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা চাই সঠিক বিচার হোক।”

Next Article