Bengal Flood: ভেসে গিয়েছে, নিশ্চিন্দ্রা কাটান, ‘শর্টকার্টে’ ফরাক্কায় যেতে গিয়ে জলের তলায় এনটিপিসি কর্মী

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Oct 21, 2021 | 11:30 PM

Farakka: ফরাক্কা পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম প্রভু সিংহ। বয়স ৫১ বছর। তিনি নিশ্চিন্দ্রা গ্রামেরই বাসিন্দা।

Bengal Flood: ভেসে গিয়েছে, নিশ্চিন্দ্রা কাটান, শর্টকার্টে ফরাক্কায় যেতে গিয়ে জলের তলায় এনটিপিসি কর্মী
নিখোঁজ এনটিপিসি কর্মী, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: গত কয়েকদিন ধরেই বঙ্গে দুর্যোগের বিরাম নেই। বৃষ্টির দাপটে প্লাবিত (Flood) হয়েছে কার্যত গোটা উত্তরবঙ্গ। ঝাড়খণ্ড থেকে ফরাক্কা যোগাযোগের রাস্তা নিশিন্দ্রা কাটানও জলের তলায়। সেই রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় ‘শর্টকাটে’ এনটিপিসির অ্যাশপন্ড লোহার সেতু ব্যবহার করে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় জলের তোড়ে তলিয়ে গেলেন ফরাক্কা এনটিপিসির এক ঠিকা শ্রমিক।

ফরাক্কা পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম প্রভু সিংহ। বয়স ৫১ বছর। তিনি নিশ্চিন্দ্রা গ্রামেরই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার, নিশ্চিন্দ্রা কাটানের উপর দিয়ে জল যেতে দেখে এনটিপিসি অ্যাশপন্ড সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রভু। সেইসময় হঠাত্‍ করেই সেতু থেকে জলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে দেখতে পেয়ে ছুটে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বলে বলেও নিশ্চিন্দ্রা কাটানে কোনও পোক্ত সেতু তৈরি হয়নি। ঝাড়খণ্ডের উঁচু অংশের জল নামার ফলেই ওই এলাকা প্লাবিত। কিন্তু যাতায়াত তো করতেই হবে। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ওই নড়বড়ে সেতুই ব্যবহার করছেন।

এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, আজ যদি পাকাপোক্ত সেতু তৈরি হত তাহলে হয়ত এই বিপত্তি হত না। এভাবে বেঘোরে প্রাণও দিতে হত না কাউকে। এলাকাবাসীর অনুমান, জলের তোড়ে যেভাবে ভেসে গিয়েছেন প্রভু সিং তাতে আর তিনি বেঁচে নেই। এনটিপিসি শ্রমিকের এভাবে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায়  প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। তিনি বলেন, “নিশ্চিন্দ্রা কাটানে সেতু না হওয়াতেই এই বিপত্তি। কেন ফরাক্কায় নতুন সেতু হল না তা বলতে পারবেন নতুন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।” যদিও, এই ঘটনায় বিধায়ক মনিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

শুধু ফরাক্কা নয়, ভয়াবহ অবস্থা সামশেরগঞ্জেও। গঙ্গা গিলেছে একের পর এক বাড়ি। একের পর গ্রামের চাষের জমি চলে গিয়েছে নদী বক্ষে। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। এরপরও রক্ষে নেই। ক্ষিদে যেন মিটছেই না নদীর। রবিবারও সন্ধে নাগাদ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভাঙন শুরু হয়। প্রচণ্ড ভাঙন হওয়ায় এলকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। বারবার তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়। কারণ এই ভাঙন ঠিকমতো প্রতিরোধ করা না হলে ঘর-বাড়ি জমি সব গঙ্গায় তলিয়ে যেতে শুরু করবে। নিঃস্ব হয়ে যাবেন তাঁরা।

কিছুদিন আগে সমশেরগঞ্জে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। ৫০০-র বেশি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছিলেন প্রায় ৭০ মতো পরিবার। কিছুদিন আগে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গোপালপুরের ভাঙন পরিস্থিতি দেখে যান। কিন্তু  গৃহহারাদের পুনর্বাসন বা ত্রাণের কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন: সহবাসে আপত্তি ছিল, ‘পথের কাঁটা’ সরাতে ১০ হাজার টাকার লেনদেন, ওঝা-খুনে গ্রেফতার মহিলা!

 

 

Next Article