রানিনগর: আবারও উত্তপ্ত রানিনগর। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে শুক্রবার সভা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। সেই সভা শেষে অধীর চৌধুরী চলে যাওয়ার পর কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে বলে অভিযোগ। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রানিনগর। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠছে। এমনকী তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে আগুন জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। থানা ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই থানায় ভাঙচুর চালিয়েছে।
ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকের কংগ্রেসের সমর্থক বলেই এলাকায় পরিচিত বলে জানা যাচ্ছে। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনিও জানান এই ধরনের ঘটনা কখনোই কাঙ্খিত নয়। তবে সভা চলাকালীন একটি মিছিল আসার পথে পুলিশ বাধা দিয়েছিল বলে দাবি করেন অধীরবাবু। তা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। অধীরবাবুর বক্তব্য, তিনি সভা শেষে চলে যাওয়ার সময় দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের বলেছিলেন যাতে নতুন কোনও আর কোনও গন্ডগোল না হয়। মিছিল থেকে যদি কাউকে পুলিশ আটক করে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করার জন্য দলীয় কর্মীদের কাছে বলেছিলেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, পরবর্তী সময়ে তাঁর কাছে খবর যায় যে তিনি সভাস্থল থেকে চলে আসার পর কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময়েই একটি উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে দাবি অধীরের। বলছেন, ‘ঘটনা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। আমরা কাউকে বলিনি থানায় হামলা করতে। যাঁরা হামলা করেছে, তাঁরা একেবারেই ঠিক করেনি। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত কোথায়, সেটাও পুলিশের দেখা দরকার। নাহলে ব্যাপারটা একতরফা হয়ে যায়। হঠাৎ কেন থানায় ইট-পাটকেল মারতে গেল লোকে, সেটাও পুলিশকে অনুসন্ধান করে দেখা দরকার।’