মুর্শিদাবাদ: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর সভা শেষ হওয়ার পরই গতকাল ধুন্ধুমার কাণ্ড তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে। কংগ্রেসের এক দল সমর্থক ক্ষিপ্ত অবস্থায় ভিড় করেছিল রানিনগর থানা চত্বরে। থানার ভিতরে ভাঙচুরও চালানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত সন্ধের ঘটনায় পুলিশের একজন সাব ইনস্পেক্টর-সহ মোট চারজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে রানিনগর থানার পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই কংগ্রেসের সমর্থক বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে অধীর চৌধুরীর একটি রাজনৈতিক সভা ছিল রানিনগরে। সেই সভা শেষে অধীরবাবু চলে যাওয়ার পরই এই গন্ডগোল ঝামেলা শুরু হয় বলে অভিযোগ। থানায় হামলার ঘটনা যে কখনোই কাম্য নয়, তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রানিনগরে থানায় ভাঙচুরের ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। অধীরবাবুর বক্তব্য, তিনি কখনোই বলেননি থানায় হামলা করতে। গতরাতের ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি কখনোই বলছি না, যারা হামলা করেছে তারা ঠিক করেছে। সে কথা আমি বলছি না। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত কোথায় সেটাও পুলিশের দেখা দরকার।’ তা না হলে গোটা বিষয়টি এক তরফা হয়ে যেতে পারে বলেই মত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
কোন সূত্রপাতের কথা বলতে চাইছেন অধীর চৌধুরী? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ব্যাখ্যা, তিনি সভা চলাকালীনই খবর পেয়েছিলেন, সভায় আসার সময় একটি মিছিলকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। আর পুলিশের এই ‘অতিসক্রিয়তার’ দিকেই আঙুল তুলছেন তিনি। অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘পুলিশ যদি মনে করে থানায় ইট-পাটকেল পড়েছে, তাই যা খুশি করার অধিকার রয়েছে, সেটা পুলিশের ব্যাপার। কিন্তু একটি মিছিলে পুলিশের অতিসক্রিয়তা দেখানোর পিছনে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আমি দেখছি না।’