মুর্শিদাবাদ: ‘বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না। মনোনয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই।’…এই রকমই একগুচ্ছ অভিযোগ বারেবারে করে এসেছে বিরোধী দলগুলি। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের নিষ্ক্রিয়তাও তুলে ধরেছে তারা। জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। মনোনয়ন পর্বে হিংসার ঘটনা নিয়ে ফের একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে বিঁধে কংগ্রেস নেতার দাবি, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজীব সিনহাকে শুধু গোঁফ রাখার স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর কোনও স্বাধীনতাই দেননি।
অধীর অভিযোগ করে বলেন, “হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বললেও নির্বাচন কমিশন সেই বাহিনী আনতে দেরি করল।” কংগ্রেস নেতা মনে করছেন, বাহিনী যদি আগে আসত তাহলে হিংসা-মৃত্যুর ঘটনা আগেই আটকানো যেত।
বস্তুত, গত দু’দিন ধরে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক এলাকা। শুধু তাই নয়, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রাণ যায় বাম কংগ্রেসের দুই সমর্থকের। এছাড়াও ভাঙড়ে এক তৃণমূল ও এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। হিংসার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরী বলেন, “নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চোখ, রাজ্যের কান। রাজ্য বলে দিয়েছে চোখ দিয়ে দেখতে, কান দিয়ে শুনতে। আর কিছু করতে না।”