মুর্শিদাবাদ: মনোনয়নপত্র দাখিলের পরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে মুছে দেওয়া হল শাসকদলের প্রতীক। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছে বলেই দাবি করল জাতীয় কংগ্রেস। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে মনোনয়নের জমা দেওয়ার কাজ। বৃহস্পতিবার রাতেই বড়ঞার সৈয়দপাড়া গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের এই দলীয় কার্যালয় থেকে সমস্ত ব্যানার ফেস্টুন খুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি স্বীকার করে নেন বড়ঞার ব্লক সভাপতি আজাদ মল্লিকও।
যদিও দলের কার্যালয় থেকে সমস্ত চিহ্ন মুছে যাওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। কিন্তু এই ধরনের গ্রামে তাদেরই প্রভাব আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মাহে আলম।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফজরুল রহমান বলেন, “আমাদের গ্রামে ব্লক অনুমোদিত কোনও পার্টি অফিস ছিল বলে আমার জানা নেই। ২০১৮ সাল থেকেই ওই গ্রামেই আমি তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত প্রতিনিধি। অনেকেই টিকিট পাননি বলে তৃণমূল ছেড়েছিল। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে।”
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, “তৃণমূলের ভাঙন অব্যহত। ওই পার্টি অফিসের সমস্ত লোক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এখনও ওই পার্টি অফিস কংগ্রেসের দখলে।”
এর আগেও রাতারাতি তৃণমূলের কার্যালয় কংগ্রেসের হয়ে যায়। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের কহেতপুর গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয় কংগ্রেসের দখলে চলে যায়। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা মহম্মদ জাহাঙ্গীর শেখ। আর তারপরই বদলে যায় কার্যালয়। কার্যালয় থেকে খুলে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্সও।