মুর্শিদাবাদ: পরণে ধোপধুরস্ত পোশাক। পরিপাটি করে চুলে খোঁপা, কারও আবার সুন্দর করে বিনুনি বাঁধা। একদল মহিলা দাঁড়িয়ে বাস স্ট্যান্ডে। দেখে মনে হবে সাধারণ যাত্রী। কিন্তু তাঁদের হাতের ‘জাদু’তেই মুহূর্তে ব্যাগ ফাঁকা হয়ে যায় অন্যদের। মহিলা পকেটমার গ্যাংয়ের রমরমার অভিযোগ উঠল বড়ঞার একাধিক জায়গায়। ইতিমধ্যেই এরকমই একটি গ্যাংয়ের তিনজনকে হাতেনাতে ধরেওছে বড়ঞা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাদের তিনজনই বীরভূমের বাসিন্দা। সেখান থেকেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় এসেছেন কাজের সূত্রের।
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ফটির সাঁকো থেকে কাপাসডাঙায় আসছিলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, বিশেষ কাজে যাচ্ছিলেন বলে ব্যাগে প্রায় হাজার টাকা ছিল। আচমকাই ব্যাগে হাত দিয়ে দেখেন চেন কাটা। তারপর সারা ব্যাগ ওলটপালট করেও নিজের টাকা রাখার ব্যাগটি হাতে পাননি। উল্টে ব্যাগের ভিতর পড়েছিল একটি লাল রঙের ব্যাগ। ওই মহিলার দাবি, ব্যাগটি তাঁর নয়, অন্য কারও।
কুলিনগর, খড়গ্রাম, কান্দি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার এরকম পকেটমার গ্যাং ধরা পড়েছে। ফের এই একই উৎপাত শুরু হয়েছে বড়ঞার বিভিন্ন এলাকায়। শনিবার একটি গ্যাং ফটির সাঁকো এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল।
গাড়ি ধরবেন বলে কয়েকজন মহিলা দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই প্রায় গায়ের উপর উঠে পড়ে ব্যাগ থেকে মানিব্যাগটি তুলে নেন। ব্যাগের মালকিন প্রথমবার কিছু বুঝতে না পারলেও পরে আরেকটি ব্যাগ তুলতে গেলে বুঝে যান। এরপরই ধরা পড়ে যায় তিনজন। ব্যাগের ভিতর টাকা, চাবি, টিকিট থাকলেও তা আর ফেরত পাননি।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, পাঁচজন মহিলা ছিলেন ওই গ্যাংয়ে। যদিও তিনজন মহিলা ধরা পড়েছেন। সঙ্গে থাকা আরও দু’জন বিপদ বুঝে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে পুলিশকে খবর দিলে বড়ঞা থানার পুলিশ এসে ওই তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবক হাসান আলির কথায়, “বাসস্ট্যান্ডে ব্যাগে হাত ঢোকাচ্ছিলেন এক মহিলা। সেই মুহূর্তে ধরা পড়ে যায়। অন্য একজনের ব্যাগ ভরে দিয়েছিলেন আরেকটি ব্যাগে। তবে আসল যে ব্যাগটি তা ততক্ষণে অন্য জায়গায় চালান করে দেন।”