Murshidabad: ‘হুমায়ুন অনুগামী’ হওয়ার খেসারত? বড় ঘটনা ঘটে গেল ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে
Murshidabad: এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কংগ্রেসের চার জন সদস্যকে নিয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এই স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছিল। উন্নয়নে ব্যঘাত ঘটছিল। সে কারণেই দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে জেলা সভাপতি এ কথা বললেও হুমায়ুনকে নিয়ে চাপানউতোর কিন্তু থামছে না।

ভরতপুর: ইতিমধ্যেই বেঁকে বসেছেন এক্কেবারে পুরোদমে। নতুন দলের কথা বলে জল্পনা আরও তীব্র করে ফেলেছেন। এবার হুমায়ুন অনুগামীদের নতুন করে শুরু চাপানউতোর। নেপথ্যে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে আনা অনাস্থা। এখানে স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ৯ জন। প্রত্যেকেই তৃণমূল সূত্রের খবর, তার মধ্যে এখানে তিন থেকে চারজন ভরতপুরের বিধায়ক হুময়ুন কবীরের অনুগামী। কিন্তু হঠাৎ কেন তাঁদের নিয়ে চর্চা?
খবর বলছে, স্থায়ী সমিতির এই কর্মাধ্যক্ষদের বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে অনাস্থা। আর অনাস্থা আনলেন পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সদস্যরা। অনাস্থা ভোটে ৩৬ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ জন। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ১৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ৮ জন পঞ্চায়েত প্রধান ও দু’জন জেলা পরিষদ সদস্য অনাস্থা ভোটে অংশ নেন। সূত্রের খবর, ২৮ জনই বর্তমান স্থায়ী সমিতির বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কংগ্রেসের চার জন সদস্যকে নিয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এই স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছিল। উন্নয়নে ব্যঘাত ঘটছিল। সে কারণেই দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে জেলা সভাপতি এ কথা বললেও হুমায়ুনকে নিয়ে চাপানউতোর কিন্তু থামছে না। এই যেমন সদ্য অপসারিত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আলি মহম্মদ খান স্পষ্ট বলছেন, “আমরা দল হিসাবে তৃণমূলটাই করি। কিন্তু, আমাদের উপর তকমা হচ্ছে আমরা নাকি বিধায়কের লোক। আমরা নাকি কংগ্রেস করি। এই সব কথাবার্তা ছড়িয়ে আমাদের যাতে এখান থেকে পরিকল্পনা করে এখান থেকে সরানো যায় সেই পরিকল্পনা করে এটা করা হয়েছে।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “আমরা চলে যাব, কিন্তু এর যে প্রভাব সেটা তো ভোটবাক্সের উপর পড়বেই। তৃণমূল তৃণমূলের উপরেই যদি এমন বিরোধিতা করে থাকে তার প্রভাব তো ভোটবাক্সে পড়বেই।”
