বহরমপুর: ইউসুফ পাঠানকে নাপসন্দ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই ছিলেন বেসুরো। রাগে প্রকাশ্যে বলেছিলেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ার কথা। সাফ বলেছিলেন, ‘ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব’। সেই হুমায়ুন কবীরের এবার ভোলবদল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো প্রকাশ করে হুমায়ুনের দাবি, ‘ইউসুফ পাঠানের হয়েই ভোট করব।’ আচমকা তাঁর সুর বদল নিয়েই এখন জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। ইউসুফের বিরোধিতা করে এর আগে একাধিকবার সুর চড়াতে দেখা যায় হুমায়ুনকে। ভরতপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক বলেছিলেন, “ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী মানতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যদি আমাদের মতো লোকজনকে একবার বলতেন এটা মানতে হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, অবশ্যই আমি মাথা নত করে মেনে নিতাম।” তাঁর এ কথা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।
এরইমধ্যে জেলায় ফিরহাদ হাকিমের রাজনৈতিক কর্মী সভাতেও দেখা যায়নি হুমায়ুনকে। তা নিয়েও চাপানউতোর চলেছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরহাদের সঙ্গে দেখা করার পরেও অনড় ছিলেন নিজের অবস্থানে। ফের তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল নির্দল হয়ে লড়ার কথা। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে একদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় নিয়ামত শেখ এবং হুমায়ুন কবীরের। তারপর থেকেই সুর বদল হুমায়ুনের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বার্তায় বলছেন, “গত ১১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত দলের মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে আমার যে বক্তব্য ছিল সেই বক্তব্য থেকে অনেকটাই সরে আসতে হয়েছে। নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে গিয়েই সরে আসতে হয়েছে। গতকাল ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। আমি নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখছি। অভিষেককে নেতা মেনে তাঁর ঘোষিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বহরমপুরের সব স্তরের তৃণমূল নেতাদের কাছে আবেদন করছি।”