মুর্শিদাবাদ: ভোটপর্বে ‘লক্ষ্মীছেলে’ হয়েই থেকেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল বিড়ম্বনায় পরে, এমন কোনও কথা তাঁর মুখে অন্তত ভোটপর্বে শোনা যায়নি। তবে ভোট মিটতেই আবারও বোমা ফাটালেন হুমায়ুন। এবার তাঁর নিশানায় রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান।
হুমায়ুন দাবি করেন, ইউসুফকে জেতাতে তাঁকে অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। জেলার সভাপতি বা জেলার যে নেতাদের হাতে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল, তাঁরা হুমায়ুনের এলাকায় প্রচারে পর্যন্ত আসতে দেননি ইউসুফকে। একদিন আনা হয়, তাও ভরদুপুরে, দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমার যে বিধায়ক, যিনি দলের চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন তিনি পর্যন্ত আমাদের মতো লোককে একদিনও বলেননি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোটটা করতে হবে। এমনকী একদিন আসা বা কোনওভাবে সহযোগিতা করা, চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি। আমি নিজে যতটুকু পেরেছি, কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে কাজ করেছি।”
হুমায়ুনের দাবি, “আমি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতির লোক। তাই মেনে নিয়েছি। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করেন, বকাঝকাও করেন। তবে আমি মনে করি শাসন করার অধিকার তারই থাকে যিনি স্নেহও করেন।” ভরতপুরের বিধায়কের কথায়, দলের মধ্যেও তাঁর প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তারা চায় না হুমায়ুন কবীর সম্মান নিয়ে দলে থাকুন।