Murshidabad Death: ভাই বাইরে থাকেন, তাঁর বৌকে একা পেয়ে কি না এইসব করলেন ভাসুর! গায়ে কাঁটা দেবে জানলে
Murshidabad: ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার ইব্রাহিমপুর। সেখানেই বসবাস করতেন সরিফা বিবি। মহিলার স্বামী বলাই শেখ কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকতেন।
মুর্শিদাবাদ: অশান্তি চলছিল অনেকদিন ধরেই। কখনও সম্পত্তি নিয়ে, কখনও বিভিন্ন কারণে। নিত্যদিনই ঝগড়া লেগে থাকত। তবে সেই ঝগড়া ফল হল ভয়ঙ্কয়। বাড়িতে আসতে হল পুলিশকে।
ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার ইব্রাহিমপুর। সেখানেই বসবাস করতেন সরিফা বিবি। মহিলার স্বামী বলাই শেখ কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকতেন। আর শ্বশুরবাড়িতে একাই থাকতেন মহিলা। তবে একা বললে ভুল হবে, ওই বাড়িতে থাকতেন সরিফার ভাসুর-জা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গে মোটেই সম্পর্ক ভালো ছিল না ওই গৃহবধূর। প্রায়শই অশান্তি হত সংসারে।
সূত্রের খবর, ঝামেলার সূত্রপাত হয় ২০ মে। অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতে সরিফা বিবিকে তাঁর ভাসুর শুকুর শেখ এবং জা সরি বিবি মিলে মারধর করতে থাকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই গৃহবধূ। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে বুধবার বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু তখনও ক্ষান্ত থাকেননি পরিবারের সদস্যরা। ফের লোহার রড দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ফের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সরিফা বিবির।
মেয়ের মৃত্যু খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা।অভিযুক্তদের কঠর শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতের বাবা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ।
সালমার ভাই জানান, ‘আমার দিদিকে ওরা প্রায়শই মারধর করত। একবার মেরে অজ্ঞান করে দিয়েছিল। তখন ওকে আমরা উদ্ধার করে ভরতপুর পরে কান্দি নিয়ে যাই। সেখানে থেকে সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাই বহরমপুর। এরপর বুধবার বাড়িতে ফেরে ও। কিন্তু তারপরও শান্তি মেলেনি। বারবার মারধর করে ওরা। এরপর ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসকরা জানান দিদি আর নেই। আমরা পুলিশে অভিযোগ করেছি। চাই যে ওদের কঠোর শাস্তি হোক।’