Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Guest Teacher: একশো দিনের কাজের থেকেও কম! মাত্র ৩ হাজারে চাকরিহারার শূন্যস্থানে এবার ‘অতিথি শিক্ষক’

Guest Teacher: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দাবি করেছেন, যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা আগে বিভিন্ন সময়ে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদেরই এখন নিয়োগ করা হচ্ছে। স্কুলের ফান্ড থেকেই তাঁদের দেওয়া হবে ‘বেতন’।

Guest Teacher: একশো দিনের কাজের থেকেও কম! মাত্র ৩ হাজারে চাকরিহারার শূন্যস্থানে এবার ‘অতিথি শিক্ষক’
কী বলছে স্কুল? Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2025 | 4:02 PM

ধুলিয়ান: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে ১৯ জন শিক্ষকের। ক্লাস চালাতে অতিথি শিক্ষক নিয়েছে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান গার্লস হাইস্কুল। সূত্রের খবর, তাঁদের মাসে দেওয়া হবে ৩ হাজার টাকা করে সাম্মানিক। এই খবরেই শিক্ষক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর। তীব্র অচলাবস্থা স্কুলে স্কুলে। প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে পঠনপাঠন। এমতাবস্থায় স্কুলের পড়াশোনা কোন পথে চলবে তা ভেবেই মাথায় হাত স্কুল কর্তৃপক্ষের। এরইমধ্যে এবার একাধিক স্কুলে চলছে পরীক্ষা। এমতাবস্থায় ‘৩ হাজারের চাকরি’ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। 

সূত্রের খবর, ধুলিয়ানের এই স্কুল স্কুলেরই উন্নয়ন তহবিল থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে অতিথি শিক্ষকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে চাকরি বাতিলের পর ধুলিয়ানের এই স্কুলে বর্তমানে ৮ জন শিক্ষিকা রয়েছে। অন্যদিকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি। তাই এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার ভার সামাল দিতে স্কুলের তরফে ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দাবি করেছেন, যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা আগে বিভিন্ন সময়ে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদেরই এখন নিয়োগ করা হচ্ছে। স্কুলের ফান্ড থেকেই তাঁদের দেওয়া হবে ‘বেতন’। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, “কীভাবে স্কুল চলবে ভেবে একেবারেই ভেঙে পড়েছি! প্রায় ৫ হাজার ৪০০ পড়ুয়া। ২৭ জন শিক্ষক থাকার পরেও ৪৪টা খালি পদ ছিল। এখন ১৯ জন শিক্ষককে হারিয়ে আমরা সত্যিই দিশাহারা। তাই কোনও উপায় না পেয়ে ৬ জন শিক্ষককে ক্যাজুয়ালি নিয়োগ করেছি। ওদের বেতন দিতে স্কুলের ডেভলপমেন্ট ফান্ড ছাড়া তো উপায় নেই।” স্কুলে যোগদানের পর এক নতুন শিক্ষিকা বলছেন, “শনিবার থেকে স্কুলে আসছি। বেশ ভালই লাগছে।”