Murshidabad: ২৮ কোটির তছরুপ, প্রাক্তন পুরপ্রধান-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
Murshidabad: সোমবার মুর্শিদাবাদ পুরসভার পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর পোস্টের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তীর। তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের অগস্ট মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ পুরসভায় ২৮ কোটির তছরুপের অভিযোগ প্রাক্তন পুরপ্রধান-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৫ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয় দিন কয়েক আগে। এবারে ২৮ কোটি টাকার ভুয়ো বিল বানিয়ে অর্থ তছরুপের অভিযোগে প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী-সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করল মুর্শিদাবাদ পুরসভা।
সোমবার মুর্শিদাবাদ পুরসভার পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর পোস্টের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তীর। তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের অগস্ট মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে প্রাক্তন হিসাবরক্ষক, বড়বাবু এবং ক্যাশিয়ার পদে থাকা দিলীপ দাসের। নাম রয়েছে চাকরি খোয়ানো সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নীতিশ বিশ্বাস এবং অমর মণ্ডলের। নাম আছে ক্লার্ক অমিত মুন্সির। সুইপার হয়েও স্টোর ইনচার্জের দায়িত্ব পালনকারী অনিরুদ্ধ ঠাকুরের নাম অভিযোগপত্রে রয়েছে।
স্টোর ইনচার্জ পুরসভাতে থাকার পরেও তাঁকে দায়িত্ব না দিয়ে এই অনিরুদ্ধ ঠাকুরকে সেই দায়িত্বে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পুরসভার সেই কর্মচারীদের দিন কয়েক আগেই বরখাস্ত করেছে মুর্শিদাবাদ পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলর। ২৮ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগে পুরসভার কর্মী ছাড়াও বাইরের বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থার নামও রয়েছে। সরকার কনসট্রাকশনের কাজ না করে একই রাস্তার দু’বার ভুয়ো বিল বানিয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনকি সরকার কনস্ট্রাকশন অগ্রিম অর্থ নেওয়ার পরেও সেই কাজ করেনি। সেই ঠিকাদারি সংস্থার প্রোপাইটার প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই এলাকায় পরিচিত। এছাড়াও এস এম কনস্ট্রাকশন গ্রিন সিটি প্রকল্পে সোলার লাইট, শৌচালয়, পার্কিং জোন, চিলড্রেন পার্ক তৈরি না করেও তার বিল বানিয়েছিল। অভিযোগ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুরসভার পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, “যারা সরকারি অর্থ তছরুপ করেছে এবং জনগণকে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করেছে, ডিএলবির নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হল। এরমধ্যে পুরসভার যেসব কর্মীরা জড়িত ছিল তাঁরা তো বটেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থা যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হল।” যদিও এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী এবং অভিযোগ পত্রে নাম থাকা অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।