ট্রেনে ওঠা-নামার মাঝেই মৃত্যুর ফাঁদ! ভিন্ন স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যালের চিত্র ভয় ধরাচ্ছে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 23, 2021 | 12:14 PM

Accident: জানা গিয়েছে, লালগোলা থেকে ৮:৫০ মিনিট নাগাদ লালগোলা শিয়ালদহ স্টাফ স্পেশ্যালে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন।

ট্রেনে ওঠা-নামার মাঝেই মৃত্যুর ফাঁদ! ভিন্ন স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যালের চিত্র ভয় ধরাচ্ছে
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মুর্শিদাবাদ ও বারাসত: এক জন উঠতে যাচ্ছিলেন, আরেক জন নামতে! দু’জনই মহিলা! দুর্ঘটনার সময়েও কিছুটা উনিশ-বিশ! ভিড়ের জেরে ট্রেনে দুর্ঘটনার শিকার হলেন দুই মহিলা যাত্রী। ঘটনাস্থলও পৃথক। প্রথমে দুর্ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদে বহরমপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে। দ্বিতীয়টি বসিরহাট মহকুমার শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার টাকি রোড স্টেশনে।

ঘটনা ১
চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত হলেন এক মহিলা। আহত ওই মহিলার নাম আলিয়া বিবি। রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভার সাইদাপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে নামার চেষ্টা করছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, লালগোলা থেকে ৮:৫০ মিনিট নাগাদ লালগোলা শিয়ালদহ স্টাফ স্পেশ্যালে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন। ভিড় থাকায় স্টেশনে নামতে দেরি হয় তাঁর। ট্রেন ছেড়ে দিলে চলন্ত ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তখনই পা পিছলে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর। রেল পুলিশ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনা ২

বসিরহাট মহকুমার শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার টাকি রোড স্টেশনের ঘটনা। বারাসত-হাসনাবাদ ডাউন লোকাল টাকি রোড স্টেশন ছাড়তেই বিপত্তি ঘটে। প্রত‍্যক্ষদর্শীরা জানান, বারাসতের বছর একুশের বিদিশা দে কাজে যাচ্ছিলেন। তবে তাঁর স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। তাঁকে অন‍্যান‍্য যাত্রীরা উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁরও অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যে বিদিশার পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘মেয়েটা দৌড়ে আসছিল। ট্রেন ততক্ষণে এগোতে শুরু করেছে। ও ভেবেছিল ধরে নেবে। দরজার হ্যান্ডেলটা ধরে নিয়েছিল। কিন্তু পা ফসকে যায়। ব্যালেন্স রাখতে পারেনি। যেভাবে আমরা সব্বাই যাতায়াত করছি, তাতে দুর্ঘটনা ঘটবে যে কারোর সঙ্গে। কিন্তু কাজে তো যেতেই হবে। রোজ তো আর গাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। আর আমাদের রোজগারও নেই ওতো।’

আংশিক লকডাউনে এখনও লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে হুড়োহুড়ি উঠছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাঁদুরঝোলা হয়ে যাতায়াত করছেন। তাতে যে দুর্ঘটনা অনিবার্য ছিল, সেটাও অনেক যাত্রীই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। একই দিনে দুর্ঘটনার শিকার হলেন রাজ্যের ভিন্ন প্রান্তের দুই মহিলা যাত্রী। আরও পড়ুন: ত্রিপল টাঙানো ঘুপচিতে টর্চের আলোয় কাজ সারছিলেন! সব পোল খুলে গেল তৃণমূল নেতার…

 

Next Article