Murshidabad: পেটের টানে দুধের শিশু নিয়ে দিল্লি-পাড়ি, মৃত্যু টেনে নিল বাংলার পরিযায়ী পরিবারকে
Murshidabad: মৃতদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদা থানার গঙ্গাধারী জোড়তলা গ্রামে। শনিবার সকালে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের নাম রবিউল শেখ, রুবিনা বিবি, হাসিনা খাতুন ও রুপসানা খাতুন।

মুর্শিদাবাদ: পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হয়ত সামান্য কটা টাকা বেশি রোজগার করতে পারবেন। তাই স্ত্রী আর দুধের সন্তানদের নিয়ে রওয়ান দেন রাজধানীতে। তবে না! শেষ রক্ষা হল না। বৃষ্টি কেড়ে নিল পুরো পরিবারকেই। মর্মান্তিক পরিণতি হল তাদের। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চারজনের। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকাহত গোটা গ্রাম।
মৃতদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদা থানার গঙ্গাধারী জোড়তলা গ্রামে। শনিবার সকালে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের নাম রবিউল শেখ, রুবিনা বিবি, হাসিনা খাতুন ও রুপসানা খাতুন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে পরিবার নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রবিউল। শনিবার সকালে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন মারা যান। অতিবৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে। আর তখনই মৃত্যু হয় সাতজনের। এদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার রবিউলের পরিবারও। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর দুই শিশুকন্যারও। এই ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ দিকে, এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে যখন শোকে পাথর পরিবার সেই আবার উত্তরবঙ্গের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার ভিন রাজ্যে যেতেই ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বহু পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের দাবি, ভিন রাজ্যে তাঁরা বাংলায় কথা বললেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এবার আবার ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলা নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ফালাকাটার জটেশ্বরের হেদায়েত নগরের বাসিন্দা অনিল বর্মণ। ইতিমধ্যেই তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেছেন। তা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

