AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad: ‘চৌকিটা পড়েই থাকে, সেইখানেও শুতে দেয় না আমায়’, ৫ সন্তান থাকার পরও রাস্তায় ঠাঁই ‘অভাগা’ মায়ের

Murshidabad: শুক্রবার দশটা নাগাদ নিজের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তিন সন্তানের বিরুদ্ধে। শেষমেশ শুক্রবার দশটার সময় মা-কে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ওই তিনজন। বৃদ্ধার কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরপাড়া স্কুলের সামনে এসে বসেছিল।

Murshidabad: 'চৌকিটা পড়েই থাকে, সেইখানেও শুতে দেয় না আমায়', ৫ সন্তান থাকার পরও রাস্তায় ঠাঁই 'অভাগা' মায়ের
বাঁ দিকে 'গুণধর' ছেলে, ডানদিকে বৃদ্ধা Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2024 | 6:28 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: একজন নয়, দু’জন নয়। পাঁচ-পাঁচজন সন্তান। তবুও বৃদ্ধাকে মা-কে দেখার কেউ নেই। পাঁচজন সন্তান থাকার পরও বাড়িতে হল না ঠাঁই। শেষে বোচকা হাতে নিয়ে একটি স্কুল বাড়ির সামনে পড়ে থাকলেন। নাওয়া নেই, খাওয়া নেই ওই অবস্থায় সঙ্গী একটা হাতপাখা। সেই হাত পাখা নাড়িয়ে সারাটা দিন কাটালেন তিনি। পরে পুলিশের তৎপরতায় ঢুকতে পারলেন ঘরে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার অন্তর্গত নটিয়াল বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বৃদ্ধার নাম সুরোধানি সাহা। বয়স (৮০)

সেখানে বৃদ্ধা মা-কে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন ছেলের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধার দাবি, তাঁর বয়স হয়েছে। সেই কারণে ছেলেরা তাঁকে ঘরে রাখতে চাইছে না। শুক্রবার দশটা নাগাদ নিজের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এক সন্তায়। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরপাড়া স্কুলের সামনে এসে বসে থাকেন। এমনকী বৃদ্ধা মেয়েদের বাড়িতে গেলেও নাকি ঠাঁই হয়নি। কার্যত দুই মেয়ে ও তিন ছেলের কাছে ঠাঁই না পেয়ে একলা হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধার দাবি, ছেলেরা নাকি তাঁকে মারধরও করেছে।

এরপর মহিলার সাহায্যে এগিয়ে আসেন সাগরপাড়া থানার পুলিশ। আধিকারিকরা থানায় যান। এবং নির্দেশ দেন,মাকে বাড়িতে বাধ্যতামূলকভাবে আশ্রয় দিতেই হবে। বৃদ্ধা বলেন, “বাড়িতে একখানি চৌকি আছে। সেইটা পড়েই থাকে। ওইটাতে শুতে দেয়নি। খেতে দেয়নি। পড়ে পড়ে কান্নাকাটি করি। কেউ দেখেনি।” এ দিকে ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেই তাঁরা একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে শুরু করে। একজন বলেন, “আমার দাদার কাছে মা গিয়েছিল। আমার কাছে যায়নি। কেউ মাকে বের করে দেয়নি।”