Murshidabad TMC Clash: বিধায়ক পৌর প্রশাসককে বললেন ‘সিপিএমের হয়ে কাজ করে ও’, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
Murshidabad TMC Inner Clash: ফিরোজকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধায়ক জাকির হোসেন।
মুর্শিদাবাদ: নর্দমা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জঙ্গিপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের।
ঘটনার সূত্রপাত এলাকার একটি ড্রেন তৈরি করাকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের শহর সভাপতি ফিরোজ শেখ সকালে কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, তা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে ঠিকাদারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, এরপর জঙ্গিপুর পৌর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের লোকজন সভাপতির ওপর চড়াও হন।
ফিরোজকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধায়ক জাকির হোসেন। হাসপাতালে গিয়ে আহত জাকিরের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে এরপর বিধায়কের অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে থানা ঘেরাও করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে পৌর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের বিবাদ বহু দিনের। মোজাহারুল আগে সিপিএম করতেন, পরে তৃণমূলে যোগ দেন। আবার জাকির হোসেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসেন। তবে মুর্শিদাবাদে জাকির হোসেন পুরনো তৃণমূলপন্থী বলেই পরিচিত। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াই দীর্ঘদিনের।
মোজাহারুল বলেন, “ঘটনার সময়ে আমি ছিলাম না। তবে এটা বলতে পারি আমাদেরই লোক গব্বরকে মারা হয়েছিল বাজেভাবে। সবাই তৃণমূল সমর্থক। এখানে তৃণমূল ছাড়া আর কে রয়েছেন? সভাপতিকে মারা হয়েছে কিনা, তা বলতে পারব না।”
জাকির হোসেন বলেন, “সে সিপিএমের হয়ে কাজ করে। আমার টাউন সভাপতি আজ অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীর গায়ে কেউ হাত তুললে, হাত পুড়ে যাবে। সে সিপিএমের হয়েই কাজ করে। আমার কর্মী কেবল কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। তাই তাঁকে মার খেতে হয়েছে।” আপাতত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দুপক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরনির্বাচনের আগেই কলকাতা বোমাবাজি, বিস্ফোরক অভিযোগ প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনের