মুর্শিদাবাদ: স্কুলে যাওয়ার পথে ১৭ বছরের নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে কীটনাশক খাইয়ে যৌন নির্যাতনের (Sexual Harassment) পর রাস্তাতেই অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে, সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পৌরসভা এলাকায়। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে প্রথমে চিকিত্সার জন্য স্থানীয়
অনুপনগর ব্লক হাসপাতাল ও পরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হলে ওই কিশোরীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার রাতে সেখানেই মৃত্য়ু হয় ওই কিশোরীর।
মৃতা কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় হিজলতলার বাসিন্দা বদিরুদ্দিন ওরফে বাপি শেখ আগেও বেশ কয়েকবার ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল। অভিযোগ, সোমবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে জোর করে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় বদরুদ্দিন ও তার বন্ধু। এদিকে সন্ধে পেরলেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় চিন্তায় পড়েন সকলে।
মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে স্থানীয়রা খবর দেন ওই কিশোরীকে কেউ অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান সকলে। এলাকার রাস্তার এক ধার থেকেই ওই কিশোরীর অর্ধমৃত দেহ উদ্ধার হয়। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সকেরা জানান যৌন নির্যাতন (Sexual Harassment) ছাড়াও ওই কিশোরীকে কীটনাশক জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। শরীরে বিষক্রিয়া ও নির্যাতনের চিহ্নও মিলেছে বলে জানান তাঁরা। শেষে চিকিত্সার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীর মৃত্য়ু হয়।
মৃতার বাবার কথায়, “বাপির অনেকদিন ধরে আমাদের মেয়ের উপর নজর ছিল। ওকে সবাই চেনে। এর আগে অনেকবার আমার বাড়িতে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছে। আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলেছে। তারপরেই এই কাণ্ড। সকালে মেয়ে সেই যে বেরল, আর ফিরল না।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বদরুদ্দিন শেখ নামের অভিযুক্ত ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরেই উত্যক্ত করত। সোমবার অনেকেই ওই কিশোীকে স্কুল যেতে দেখেছিল। কিন্তু, তারপর কখন এই ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে কেউই কিছু জানেন না।
ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পলাতক অভিযুক্ত বদরুদ্দিন ও তার সঙ্গীর খোঁজ করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির জের! মুখ্য পৌরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা খাদ্যমন্ত্রীর?