সাগরদিঘি : সব ঠিক থাকলে মাস কয়েকের মধ্যেই রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সাগরদিঘিতেই অ্যাসিড টেস্ট হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে একদিকে তৃণমূলের জমি ধরে রাখার লড়াই, অন্যদিকে বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আর একদিকে রয়েছে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। বৃহস্পতিবার সেই ফল প্রকাশ হতে চলেছে। আর সেদিকেই চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
সাগরদিঘি বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫। মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ জন। গত সোমবারই ভোটগ্রহণ হয় সাগরদিঘিতে। এই উপ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবেন সংখ্যালঘু ভোটাররা। ২০১১ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত সাহার অকাল প্রয়াণের পর এই উপ নির্বাচন হয়।
কেউ বলছেন পঞ্চায়েতের আগে এটাই সেমি ফাইনাল। সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে যেভাবে সামনে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের, নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের ঘটনায় যেভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তাতে প্রভাব পড়তে পারে শাসক দলের ভোটবাক্সে। এই আশায় রয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। রাজনৈতিক মহল মনে করছে সাগরদিঘির ফলাফল জোটের ভবিষ্যৎ ঠিক করে দিতে পারে।
অন্যদিকে, আবার বিজেপির কাছে এটা সম্মান রক্ষার লড়াই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোটের আগেই তৃণমূল বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলের রঙ ভুলে গণতন্ত্র রক্ষা করার কথা বলেছিলেন তিনি। তাই শুধুমাত্র বিজয়ী নয়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কে থাকবে, সেদিকেও নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেটাও ফ্যাক্টর হতে পারে।