মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগরায়। তার আগেও মুর্শিদাবাদ জেলাতে দল বদল অব্যহত। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক তেঘরি বড়শিমু অঞ্চল থেকে ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস-সহ অন্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ বর্তমানে ভাঙন-অসুখে জর্জরিত। সে রাজনৈতিক হোক গঙ্গায়। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা সামশেরগঞ্জ এলাকা মূলত গঙ্গাভাঙন কবলিত এলাকা হিসেবেই পরিচিত। শুক্রবারই সেই ভাঙন কবলিত এলাকাই পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে সামসেরগঞ্জ থেকে ধুলিয়ানে যাবেন তিনি। সামসেরগঞ্জে আগেই প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ঘুরে দেখে গিয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রীর আগমন ঘিরে কার্যত সাজো সাজো রব মুর্শিদাবাদে। কিন্তু তার আগেই জেলা তৃণমূলে ভাঙন।
মূলত সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সভায় অভিষেক ও মমতা প্রধান যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে টেনে আনছেন কংগ্রেস প্রসঙ্গও। মালদার সভাতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন অভিষেক। নাম নিয়েছেন অধীর চৌধুরী ও সাংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরীরও। কংগ্রেসের অবশ্য বক্তব্য, “মালদা মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘুরাও এখন ভালটা বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে, ভয়ঙ্কর চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সঙ্গে এসেছে এই ভাঙন রুখতে। কিন্তু তাঁদের আর থামানো যাবে না। ভাঙন অব্যহতই থাকবে।”