মুর্শিদাবাদ: বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলায় সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। কংগ্রেসের দাবি, মিথ্যা মামলায় তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করে কংগ্রেসকে কলুষিত করার ফাঁদ পেতেছে বিজেপি। তারই প্রতিবাদে বহরমপুরে মিছিল করল কংগ্রেস। সেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। শুক্রবারের এই কর্মসূচিতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে বহরমপুরে একটি বিশাল মিছিল বেরোয়। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড় পর্যন্ত গিয়ে ফের জেলা কার্যালয়ের সামনে এসেই মিছিল শেষ হয়।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, “ভারতবর্ষের বিরোধী দলের উপর আক্রমণ চলছে, কংগ্রেসের উপর আক্রমণ চলছে। মিথ্যা অভিযোগে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারই এটা প্রতিবাদ। সারা দেশজুড়েই এর প্রতিবাদ হচ্ছে। বর্তমান কেন্দ্র সরকার প্রকাশ্যেই বলে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে হবে। সেই লক্ষ্যেই কংগ্রেসকে দুর্বল করতে, কংগ্রেসকে কলঙ্কিত করতে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যেখানে টাকার কোনও গল্পই নেই, সেখানে বলছে টাকা তছরূপের কথা।”
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে দিল্লির দায়রা আদালতে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে আয়কর বিভাগ। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র অধিগ্রহণে গান্ধীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর অভিযোগ ছিল, গান্ধীদের অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি আসলে ন্যাশানাল হেরাল্ডের মালিকানাধীন ছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ানের মাধ্যমে এই গোটা চুক্তিটি হয়েছিল যেখানে গান্ধীদের ৮৬ শতাংশ ছিল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর কাছে কর ফাঁকিরও একটি অভিযোগ করেছিলে স্বামী। এই নিয়ে সম্প্রতি ইডি নোটিস পাঠায় গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যকে। ৮ জুনের মধ্যে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়। যদিও এই মুহূর্তে করোনা পজিটিভ সোনিয়া গান্ধী। তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী দেশের বাইরে।