TMC: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ভিডিয়ো বার্তায় সরব পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, পাত্তা দিতে নারাজ বড়ঞার MLA

Murshidabad News: মাহে আলমের বক্তব্য, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করছে। শনিবার তাঁর বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ পুলিশ দাঁড়িয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

TMC: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ভিডিয়ো বার্তায় সরব পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, পাত্তা দিতে নারাজ বড়ঞার MLA
কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 12:10 AM

মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ। বিধায়ক পুলিশ দিয়ে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বড়ঞা ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক জানান, সকলেই আসল ঘটনা জানেন। তাই এসব বলে লাভ হবে না। অন্যদিকে বড়ঞা থানার পুলিশের বক্তব্য, ওই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে তারা।

মাহে আলমের বক্তব্য, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করছে। শনিবার তাঁর বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ পুলিশ দাঁড়িয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী তাঁর মেয়েকে বাজে কথাও বলে, অভিযোগ মাহে আলমের। মাহে আলম জানান, তিনি ১০ বছর ধরে যুব ও যুবার বড়ঞা ব্লকের সভাপতি ছিলেন। এখন বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে বিধায়ক তাঁর সঙ্গে পেরে উঠছেন না। তাই এখন অন্য পথ নিয়েছেন।

মাহে আলম বলেন, “এখানকার বিধায়ক ও থানার ওসি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আজ বিনা কারণে বেলা ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আমার বাড়ি তিন গাড়ি পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। আমার ছোট মেয়েকে যা নয় তাই বলেছে। আমার বাড়ির লোকজনকে চাপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। জেলার মানুষ ও বড়ঞার মানুষের কাছে আমার আবেদন আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রে আপনারা প্রতিবাদ করুন। জেলা প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছি, জেলার নেতাদের ফোন করেছি। পুলিশেরব ভূমিকায় আমি মর্মাহত। দলের কাছে আমার অনুরোধ আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা সঠিক পথে বিচার করা হোক। শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু বিনা কারণে আমাকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করলে মানব না।”

অন্যদিকে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বক্তব্য, “আমি কেন ওনাকে ফাঁসাতে যাব? ওনার বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতেই চাই না। সকলে জানেন উনি কী করেছেন। উনি অপরাধ করলে পুলিশ কী ওনাকে ছেড়ে দেবে? গ্রামের লোকজন ছেড়ে দেবে? ওনার কোনও ব্যাপারেই আমি নেই। দলকে জানানো হয়েছে। দল সিদ্ধান্ত নেবে।”