Murshidabad: সবজির ব্যাগে টাকা আসত? তৃণমূল বিধায়কের ‘দুয়ারে’ চলল তাণ্ডব

Murshidabad: স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে টানা আধ ঘণ্টা বিক্ষোভকারীরা তাণ্ডব চালান বিধায়কের বাড়ির সামনে।

Murshidabad: সবজির ব্যাগে টাকা আসত? তৃণমূল বিধায়কের 'দুয়ারে' চলল তাণ্ডব
বাঁদিকে অভিযোগকারী নেতা। ডানদিকে বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 1:06 PM

মুর্শিদাবাদ: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে, দলেরই একাংশ কার্যত তাণ্ডব চালায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিস আলির বাড়িতে। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে তুলকালাম বেঁধে যায় এলাকায়। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিধায়ক তাঁদের সম্পর্কে কুমন্তব্য করেন। যে কোনও পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় বিধায়কের বাড়ির সামনে এবং বাড়ির ভিতরেও তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের একটাই বক্তব্য, “টাকা ফেরত দিতে হবে, জবাব দিতে হবে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভগবানগোলা থানার পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ইদ্রিস আলি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এসব কথা বলা হচ্ছে। সবটাই ভিত্তিহীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে টানা আধ ঘণ্টা বিক্ষোভকারীরা তাণ্ডব চালান বিধায়কের বাড়ির সামনে। সূত্রের খবর, এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ একটি অঞ্চলে বিধায়কের উপস্থিতিতে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পেরিয়ে গেলেও সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি বিধায়ক ইদ্রিস আলি। এদিকে এই অঞ্চলের কর্মীদের সম্পর্কে আগে বিধায়ক কুমন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে টাকার বদলে পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। সব মিলিয়ে এদিন একেবারে চরম আকার নেয় পরিস্থিতি।

এক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, স্থানীয় রিয়াত হোসেন নামে এক যুবককে জোর করে ব্লক সভাপতি করতে চান বিধায়ক। বদলে ১২ লক্ষ টাকা নেন। ওই বিক্ষোভকারী জানান, “আমাদের রিয়াত হোসেন নামে একটা ছেলে ব্লক সভাপতি হতেও চায়নি, জোর করে নানা টোপ দিয়ে ব্লক সভাপতি করার জন্য ১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। আমাদের বিধায়ক তাঁর বাড়িতে এই টাকা নিয়েছেন। আমি নিজে সেই টাকা গুনে দিয়েছি। একটা সবজির ব্যাগে ভরে সেই টাকা দিই। সঙ্গে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। বলেছিলেন, আমাকে অঞ্চল সভাপতি করবেন।”

এখানেই থেমে থাকেননি ওই ব্যক্তি। তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, “আমার অঞ্চলেই আশা কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওনার ছেলে। মোটামুটি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। আমি খবর নিয়ে দেখলাম প্রত্যেক অঞ্চলে লোক ঘুরছে। অঞ্চল সভাপতি করার জন্য টোপ দিচ্ছে। ৪ লক্ষ টাকা করে দিলে পদ পাইয়ে দিচ্ছে। সাবিরুল নামে একজন টাকা তুলে বিধায়কের হাতে তুলে দিচ্ছেন। ভগবানগোলা-১ ও ভগবানগোলা-২ মিলিয়ে ১ লক্ষ ৬ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলাম। আমাদের দেখেই লোকে ভোট দিয়েছিল। এখন এখানে দালালি করছেন। মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। এই বিধায়ককে আমরা চাই না। ইনি দলের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি করে দিচ্ছেন। এর বিহিত আমরা চাই।”

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ইদ্রিস আলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমার গেট, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পিছনের লাইট ভেঙে দিয়েছে। কতগুলো চেয়ার ছিল, সেগুলি ভেঙেছে। গোলাপ নামে আমাদের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আমার এখানে এসেছিলেন, তিনি বাইরে বেরোতে তাঁকেও মারধর করা হয়। রিয়াত হোসেনের সঙ্গে আপনারাই যোগাযোগ করে নিন। দেখুন উনি কী বলছেন।”