নদিয়া: রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়ার প্রকল্পের নাম সবুজ সাথী (Sabuj Sathi)। আর সেই সবুজ সাথীর সাইকেল চুরি করে বিক্রির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার কৈখালি এলাকায়। চলল গুলি-ও! তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)-র সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ৫ জন।
সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল চুরি করে বেআইনি ভাবে বিক্রি করার অভিযোগ। আর এ নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নদিয়ার কৈখালি। বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে গুলি লেগে আহত দুই পক্ষের প্রায় ৫ জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। গোটা ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছিল। হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছে তারা। এর নেপথ্যে রয়েছে এক দলবদলু নেতা বলে দাবি তাদের। আর এর পরই শুরু হয় এলাকায় উত্তেজনা। দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। চলে গুলিও। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। প্রথমে হাতাহাতিতেই আটকে ছিল গন্ডগোল। তার পর হঠাৎ-ই বন্দুক বের করে গুলি চালানো হয়। গুলি লেগে দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয় বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দুই বিজেপি কর্মী তপন বিশ্বাস ও দেবশ্রী বিশ্বাস। গুলিতে জখম হয়েছেন তৃণমূল কর্মী শিলা বিশ্বাস ও শুভম বিশ্বাস। ঘটনার পর দুই পক্ষের কর্মীরাই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর পোদ্দার। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মধ্যে ইমার্জেন্সির সামনে স্ট্রেচারে থাকা এক আহত বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা ফের ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এর পর পুলিশ পরিস্থিতিতে আয়ত্তে আনে। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সমীর পোদ্দারের নেতৃত্বে এমারজেন্সি গেটের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এর পর হাসপাতাল চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে বিজেপির দাবি তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূল সরকারি সাইকেল বেআইনিভাবে বিক্রি করেছিল। তার এর প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা। ঘটনার জেরে এখনো উত্তপ্ত ওই এলাকা। চলছে হাঁসখালি থানার পুলিশের টহলদারি। ঠিক কী কারণে এই গন্ডগোল এবং এর গন্ডগোলের নেপথ্যেই বা কারা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।