Fraud Case: চাকরি দেওয়ার নামে গৃহবধূর সঙ্গে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ
Fraud Case: গৃহবধূর বক্তব্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে নদিয়ার গাংনাপুরের ওই গৃহবধূর কাছ থেকে কখনও ব্যাঙ্ক লেনদেন, আবার কখনও নগদে টাকা হাতানো হয়েছে।
নদিয়া: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ কালনা থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার্সের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুরের গোপিনগর এলাকায়। অভিযোগ, বুলবুলি বিশ্বাস নামে নদিয়ার এক গৃহবধূকে বর্ধমান জেলার কালনা কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩২ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স।
গৃহবধূর বক্তব্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে নদিয়ার গাংনাপুরের ওই গৃহবধূর কাছ থেকে কখনও ব্যাঙ্ক লেনদেন, আবার কখনও নগদে টাকা হাতানো হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত, ওই গৃহবধূর কালনা থানার দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় কালনা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার কাউসার শেখের সঙ্গে।
গৃহবধূর বক্তব্যস প্রথম পরিচয় এই কালনা কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে। এরপরে ধাপে ধাপে শুরু হয় চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা করা। ধীরে ধীরে ওই গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়র। এরপর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নদিয়ার গাংনাপুরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে এসে গাংনাপুর এলাকার আরও একাধিক বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে টাকার পরিবর্তে একাধিক যুবককে ভুয়ো জয়েন্ট লেটার দেওয়ার। এরপরেই টাকা চাইলে শুরু হয় হুমকি।
বর্তমানে ওই গৃহবধূর উপর এলাকার বাসিন্দারা চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বক্তব্য, চাকরির জন্য তিনি একাধিক জায়গায় ঋণ নিয়ে টাকা দিয়েছিলেন। বর্তমানে সেই ঋণ পরিশোধের জন্যও চাপ দিচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে রেজাউল ইসলাম মোল্লা (রানা) নামে আরও একজনের নাম উঠে আসছে। অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে কানলা থানা ও বর্ধমান পুলিশ সুপার-সহ একাধিক আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ।