Suicide: এদিক-ওদিক খুঁজছিল পরিবার, তবে চালার নিচেই বৃদ্ধের অবস্থায় স্তম্ভিত পরিবার
Nadia: মৃতের নাম রঞ্জন বসার (৬১)। তিনি পেশায় তাঁত শ্রমিক। মৃতের ছেলে রঞ্জন বসাকের কথায়, রবিবার থেকেই তাঁর বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ পাশে-ও পাশে খোঁজাখুঁজি করছিলেন পরিবারের সকলে মিলে। কিন্তু বাবাকে যে এই অবস্থায় দেখতে পাবেন ভাবেননি। বাড়ির পাশের একটি চালার নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছ।
নদিয়া: লটারি কাটার নেশা ছিল মারাত্মক। হামেশাই লটারির টিকিটও কাটতেন। কিন্তু ভাগ্য খুলত না। আশা করেছিল কোনও একদিন হয়ত বড় অঙ্কের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। কিন্তু হল না। শেষে মর্মান্তিক পরিণতি হল বৃদ্ধের। লটারিতে টাকা না পাওয়ায় মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই বৃদ্ধা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড পাড়া এলাকায়।
মৃতের নাম রঞ্জন বসার (৬১)। তিনি পেশায় তাঁত শ্রমিক। মৃতের ছেলে রঞ্জন বসাকের কথায়, রবিবার থেকেই তাঁর বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ পাশে-ও পাশে খোঁজাখুঁজি করছিলেন পরিবারের সকলে মিলে। কিন্তু বাবাকে যে এই অবস্থায় দেখতে পাবেন ভাবেননি। বাড়ির পাশের একটি চালার নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছ।
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তৎক্ষনাত পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সঞ্জয় জানান, “আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে লটারি কাটায় অভ্যস্ত ছিলেন। একবারই শুধু লটারির টাকা পেয়েছিলেন। এরপর থেকে আরও লটারি কাটার নেশা বেড়ে যায়।কিন্তু বারে বার বঞ্চিত হয় বাবা। সেই কারণেই টাকা না পেয়ে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে পরেন তিনি।” অন্যদিকে, ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতভাগ গোটা পরিবার।